বাংলা চলচ্চিত্রের রাজকুমার ইলিয়াস কাঞ্চন। বাংলাদেশের সকর শ্রেনীর মানুষের কাছে প্রিয় এক ব্যক্তিত্ব ইলিয়াস কাঞ্চন। বর্তমান প্রযন্মের কাছে তিনি বাস্তব জীবনের মহানায়ক খ্যাত এক মানুষ। দর্শকরা ইলিয়াস কাঞ্চনকে যেমন পর্দার নায়ক হিসেবে চেনেন। পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের কারণে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এখন দেশবাসীর কাছে সত্যিকারের এক নায়ক ও তিনি দর্শক ও সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে উচ্চ আসনে আসীন।
ইলিয়াস কাঞ্চন তার অভিনয় জীবনেই নিজেকে কিংবদন্তির পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সোনালি সময়ের সেরা মানুষগুলোর অন্যতম একজন তিনি যার কাজগুলো তাকে চিরস্মরণীয় রাখবে এবং যত দিন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র থাকবে তত দিন ইলিয়াস কাঞ্চন নামটি থাকবে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ইলিয়াস কাঞ্চন সত্যিই এক ‘সুপারস্টার’ এবং বাস্তব জীবনের স্ত্রীকে হারিয়ে শোককে শক্তিতে পরিনত করে দীর্ঘ ৩০বছর ধরে সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠন নিয়ে কাজ করে তিনি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও অর্জন করে নিয়েছেন অসংখ মানুষের ভালোবাসা। ইলিয়াস কাঞ্চনের জনপ্রিয়তা শুধু দেশেই নয়। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্য দেশে ইলিয়াস কাঞ্চন এখন অনেকের ভালোবাসার একজন মানুষ।
দেশের বাইরে প্রবাসীরা তো আছেনই। প্রবাসী ছাড়াও অন্য দেশের নাগরিকরাও এখন ইলিয়াস কাঞ্চনের ভক্ত। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার এক নাগরিক কৃতিকা নামে এক তরুণী ইলিয়াস কাঞ্চনকে ভালোবাসা এবং সন্মান দেখাতে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সাথে সামজিক কাজে অংশগ্রহন করেন।
মালয়েশিয়ার নাগরিক কৃতিকা নামে তরুণী জানান, এই দেশে থাকা অনেক প্রবাসীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন বাংলাদেশে এক মহানায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নাম। এরপর তিনি অনলাইনে বিভিন্য সময় ইলিয়াস কাঞ্চনের সিনেমা দেখেন ও ইলিয়াস কাঞ্চনের সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের নানা কাজ এর ভিডিও ক্লিপ দেখে তিনি ইলিয়াস কাঞ্চনের একজন্য ভক্ত হয়ে যান।
দেশের মানুষের জন্য এভাবে ভালো কাজ করায় ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতি কৃতিকার এক সন্মান ও শ্রদ্ধা জন্ম নেয়। কৃতিকা সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করেন নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের বগুড়া জেলা শাখাতে এবং তিনি প্রিয় তারকার ভালো কাজে অংশগ্রহন করার জন্য এই সংগঠনের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন। নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠন দুর্ঘটনারোধের পাশাপাশি বিভিন্য সময় মানবিক কিছু কাজ করে থাকে যেমন ত্রাণ বিতরণ/খাদ্য বিতরণ/বস্ত্র বিতরণসহ গরীব দু:খি অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো। কৃতিকা এমন কাজগুলোর অংশিদার হতে তিনি এই মাসে নিসচা বগুড়া জেলা শাখাতে কিছু নগদ অর্থ প্রেরন করেন। যা দিয়ে বস্ত্র লুঙ্গি/শাড়ি কিনে সমাজের অসহায় গরীব দু:খিদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
কৃতিকা বলেন, আমি চেষ্টা করে যাব আমার প্রিয় তারকা বাংলাদেশের জনপ্রিয় এক মহানায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পাশে সব সময় থাকার। তিনি দেশের জন্য যে কাজ করে যাচ্ছেন বিশ্বে আমার জানা মতো আর কোন নায়ক এভাবে কাজ কখনো করেননি। ইলিয়াস কাঞ্চন আমার দেখা শ্রেষ্ঠ এক নায়ক। কৃতিকা বলেন, প্রথমে আমি আমার দেশে প্রবাসীদের মুখে শুনেছি ইলিয়াস কাঞ্চন সম্পর্কে। এরপর আমি নিজে যখন অনলাইনে ইলিয়াস কাঞ্চনকে ফলো করি এবং তার বিভিন্য শাখা সংগঠনের কাজগুলো ফলো করি তখন আমি বুঝতে পেরেছি তিনি সত্যি একজন ভালো মানুষ এবং দেশপ্রেমিক। তাই আমি চেষ্টা করব আমার সাধ্য মতো তার সংগঠনের হয়ে কাজ করতে।
কৃতিকার এমন কাজ শাখা সংগঠনের কর্মিদের মাধ্যমে জানতে পারেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন নিজে। ইলিয়াস কাঞ্চন বিষয়টি জানার পর ভিষন খুশি হন এবং দেশের বাইরে ভিনদেশি নগরিকের এমন কর্মকান্ডে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।