জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন- প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, নিরাপদ সড়ক চাই। প্রশিক্ষন পরিচালনা করেন, এস এম আজাদ হোসেন, মহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব বশির উদ্দিন আহমেদ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:), বিআরটিএ, জনাব আনোয়ার হোসেন- কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক।
সভাপতিত্ব করেন, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ এস এম বাহাউদ্দিন, এসইউপি, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি।
কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং কর্মশালা বাস্তবায়নে সহযোগিতায় ছিলো, ব্র্যাক, নিরাপদ সড়ক চাই, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ।
সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা আমাদের সকলের কাম্য। কিন্তু সড়কের অব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক নিয়মকানুন সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও অসচেতনতাসহ বিভিন্ন কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। শিশু ও শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কেউই সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। দুর্ঘটনা রোধে রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ বা জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করতে হবে। রাস্তা পারাপারে সবসময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে সু-শৃঙ্খলভাবে ফুটপাত দিয়ে কিংবা রাস্তার ডান পাশ ঘেঁষে হাঁটতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সচেতনতার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকেরা এককভাবে দায়ী নয়। ডানে-বামে না দেখে হঠাৎ দৌড়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকতে হবে। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় রাস্তায় হাঁটার সময় কিংবা পারাপারের সময় মোবাইল ও হেড ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। চলন্ত অবস্থায় যানবাহনে ওঠা-নামা করা যাবে না এবং যানবাহন থেকে নামার সময় অবশ্যই প্রথমে বাম পা সামনে দিয়ে নামতে হবে।