সভায় প্রধান আলোচক নিসচা প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস কাঞ্চন তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে তিনি সকলের প্রতি বিনম্রশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন,আমরা কার্যত যুদ্ধ করে একটি ভুখন্ড পেয়েছি একটি স্বাধিন জাতি পেয়েছি কিন্তু আমাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ যদি শেষ হতো তাহলে এক হাহাকার বঞ্চনার কথা শোনা যেত না। মুক্তিযুদ্ধ যদি শেষ হতো তাহলে অর্থনৈতিক মুক্তি সেটি আমরা লাভ করতে পারতাম। সড়কে নিয়ম প্রতিষ্ঠা হতো। আমাদের এই উন্নতশীল দেশের সড়কে বারবার রক্তাক্ত হতে হচ্ছে মানুষকে। এই সড়কের অপঘাত সড়ক দুর্ঘটনা আজকে আমাদেরকে উন্নয়নের গতি থেকে পিছু টেনে ধরে রাখছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মতো আবার আমাদের সকলকে ঐক্ববদ্ধ হয়ে সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। সড়কের নিরাপত্তা সূদৃঢ় করতে আমাদের আন্দোলন অব্যহত আছে। আমাদের এই আন্দোলন নিয়ে ২৯বছর ধরে পথ চলা। যতদিন না পথ নিরাপদ হবে আমরা এভাবে আমাদের কাজ চালিয়ে যাব।
ইলিয়াস কাঞ্চন সকলকে মুক্তিযোদ্ধার চেতনা ধারন করে সড়ককে নিরাপদ করার আহবান জানান এবং পরিশেষে তিনি বীরমুক্তিযোদ্ধা ও যাঁদের ইজ্জতের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা সেইসব মা বোনদের প্রতি শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে বক্তব্য শেষ করেন।
সভায় অন্যান্ন বক্তারা মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে বিজয়ের মুলমন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে সড়ককে নিরাপদ করার করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। সকলে বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার ৫১বছর পরেও আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে সড়ককে নিরাপদ করতে। এই যুদ্ধে আমরা আমাদের যোদ্ধা আদর্শকে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা প্রতিশ্রতিবদ্ধ জাতির কাছে দেশের সড়ক নিরাপদ করতে হবে। যার কারণে আমাদের শ্রম ত্যাগ সমস্ত কিছু ব্যায় করে যাব। এই দিপ্ত অংঙ্গীকারে তারা শপথ নেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসান-উল হক কামাল, ভাইস চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন খান নান্টু, নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আজাদ হোসেন, সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মহসিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোঃ নাহিদুল ইসলাম, আজীবন সদস্য মাসুদ রানা, কেন্দ্রীয় সদস্য মান্নান ফিরোজ, মো: মন্টু, রাইছিন গাজি, কার্যনির্বাহী সদস্য একে আজাদ,আব্দুর রাজ্জাক, রোকনুজ্জামান রোকন।