নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারের কারণে সড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও ঠিকাদারদের মুনাফার লোভে সড়কে উন্নতমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে না। অথচ দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।
নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারের কারণে খুব দ্রুত রাস্তাঘাট ভেঙে যাচ্ছে। সড়কে ভাঙাচোরা আছে জেনেও গতি নিয়ন্ত্রণ না করে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা ঘটবে। এই পরিস্থিতি যদি বিরাজমান থাকে তাহলে আপনি কী করে আশা করবেন যে সড়কে শৃঙ্খলা আসবে? কী করে আশা করবেন, আইন মেনে সড়কে তাঁরা (চালক) গাড়ি চালাবেন এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন?
সাধারণ চালক যাঁরা গাড়ি চালাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে যে সচেতনতা আনা দরকার ছিল সে সচেতনতা আনতে আমরা যেভাবে চেষ্টা করছি, পরিবহন সেক্টরের নেতারা সেভাবে কাজটি করছেন না; বরং তাঁরা চালকদের উল্টো বোঝাচ্ছেন। এতে করে তাঁদের মধ্যে যে সচেতনতা আসা দরকার ছিল, সেটি না হয়ে বরং উল্টোটা হচ্ছে। সড়কে আইন যেভাবে বাস্তবায়ন হওয়ার সেটিও বাস্তবায়ন হয় না। মূলত এই জায়গাগুলো সংশোধন দরকার।
বিটুমিনের কারণে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে, এটা সঠিক। বিটুমিনের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে বৃষ্টি, আর ইংল্যান্ডে ঘন ঘন বৃষ্টি হয়। ইংল্যান্ডেও বিটুমিন দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের মতো এত দ্রুত রাস্তা নষ্ট হয় না। ইংল্যান্ডের রাস্তায় ব্যবহৃত বিটুমিনের মান অনেক ভালো। ইংল্যান্ডের বিটুমিনের কোয়ালিটি আপনি তো বাংলাদেশে দেবেন না। কারণ এখানে রাস্তা যতবার ভাঙবে ততবার রিপেয়ার করার সুযোগ পাবে, নতুন বরাদ্দ পাবে। এতে শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। যাঁরা বরাদ্দ দেবেন তাঁরাও লাভবান হলেন, যে মেরামত করবে সেও লাভবান হলো।
ইলিয়াস কাঞ্চন : চেয়ারম্যান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ও অভিনেতা