জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক ‘সাংবাদিক ও সুধী সমাজের সাথে মতবিনিময় সভা আজ ৮ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৪টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর কমিটি আয়োজিত উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নিসচা’র উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা জেলা আইনিজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিছুজ্জামান মাসুদ, বিআরটিএ খুলনার সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) তানভীর আহমেদ। জনাব লিটন এরশাদ, মহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)
আরো উপস্থিত ছিলেন, এস এম আজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, আবদুর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি ও যুগ্ম আহবায়ক, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন কমিটি মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন, নির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সদস্য সচিব, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন কমিটি, মো: নাহিদুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, মহসিন, সমাজকল্যান সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি।
নিরাপদ সড়ক চাই খুলনা মহানগর শাখার আয়োজনে আজ শনিবার, সকাল ১০ টায় খুলনা মহিলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক চালক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে বিকাল ৪টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সাংবাদিক ও সুধী সমাজের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ,শিক্ষক সহ সকল মহল থেকে সড়কের নিরাপত্তা সু-সংঘটিত করার উপরে গুরুত্বআরোপ করেন। এবং খুলনার সড়কের নানা অব্যাবস্থাপনার বিষয়গুলোও উঠে আসে। সভায় সকলের বক্তব্য থেকে কিছূ বিষয় উঠে আসে তা হলো সকলের সমন্নিত সৎ ইচ্ছাই পারে দুর্ঘটনা রোধ করতে। বক্তারা আরো বলেন করোনার সময় যদি সরকার কঠোর হয়ে আইন প্রয়োগ করে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে এটি দুর করতে পারে তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা কেন রোধ করা যাবে না।
সভায় ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, অনিয়মকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।আর সময়ক্ষেপণ নয় বরং সড়ককে নিরাপদ করতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সড়ক ব্যবস্থাপনার সার্বিক উন্নয়নসহ আইন প্রয়োগে আরও কঠোর হতে হবে। সাথে সাথে সচেতনামূলক ক্যাম্পেইন করাতে হবে। নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে পারলে দুর্ঘটনার হার যেমন কমবে, তেমনি দেশে আহত ও পঙ্গু মানুষের সংখ্যা কমে আসবে। সড়ক দুর্ঘটনার মতো অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে সবার আগে চাই সদিচ্ছা। সর্বোপরি চালক, মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।