আধুনিক প্রযুক্তির এই বিজ্ঞানের যুগে মানুষ এগিয়ে গেছে অনেক দূর। উন্নত যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে মাসের দূরত্ব দিনে কমে এসেছে, দিনের দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে ঘণ্টায়। কারণে-অকারণে বড্ড কল্যাণের এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিই সময়ে-অসময়ে কখনো আবার হয়ে ওঠে ভয়ংকর, দুর্বিষহ। গাড়িচালকদের অতৎপরতা, ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ আর যাত্রীদের অসাবধানতায় প্রতিনিয়তই সড়ক-মহাসড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে।
প্রযুক্তির সহযোগিতায় জীবন সহজ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ক্রমেই মানুষের জীবন হয়ে উঠছে আরো অনিরাপদ। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা, দুর্ঘটনার কারণ এবং তার সমাধান করানীয় কি এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির মোটিভেশনাল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার বনানীতে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ মোটিভেশনাল বক্তব্য রাখেন নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠিত চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। অনুষ্ঠানে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালা পরিচালনা করেন নিসচা মহাসচিব এস এম আজাদ হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন নিসচার অর্থসম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
সেমিনারে সড়ক দুর্ঘটনারোধে নানা বিষয় তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, বর্তমানে দেশে সড়ক পথে দুর্ঘটনা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার মূলে রয়েছে যানবাহনের অত্যধিক গতি, চালকের বেপরোয়া মনোভাব, ফিটনেসবিহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন, ট্রাফিক আইনের অবমাননা, পথচারীদের অসতর্কতার সঙ্গে সড়ক পারাপার এবং সড়কের কাঠামোগত সংকীর্ণতা ইত্যাদি। তাই, নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে গাড়িচালকদের প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব। ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জনসাধারণ ও গাড়িচালকদের সচেতন করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কে পথচারীদের সহজেই যাতায়াত করার জন্য স্বল্প খরচে জেব্রা ক্রসিং, আন্ডারপাস, ওভারব্রিজ নির্মাণ এবং সেগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। উপযুক্ত পদক্ষেপসমূহ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে অনাক্সিক্ষত সড়ক দুর্ঘটনা বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।