আমি যখন সড়কের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলি তখন সেই কথাটি কারো স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলে তারা মনে করে আমি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছি। আমি তাদের বিরোধিতা করছি। আসলে আমি কারো বিরোধিতা করছিনা। আমি প্রকৃত অর্থে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কথাগুলো বলি। এই কথাগুলোই অনেকের কাছে প্রিয় হয় আবার অনেকের কাছে অপ্রিয় হয়। আমি সর্বদা যেটি সঠিক সেই কথাটাই বলার চেষ্টা করি।
গতকাল রাতে সাউথ আমেরিকা থেকে ফেসবুক পেইজে এক লাইভে এসে কথাগুলো বলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বর্তমানে সাউথ আমেরিকায় অবস্থান করছেন। সেখানে এল সালভেদরে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে এক সেমিনারে তিনি অংশগ্রহন করেন। সেমিনারে সারা বিশ্বের ৩০০জন প্রতিনিধি অংশগ্রহন করেছেন।
বাংলাদেশে থেকে নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রতিনিধি হিসেবে সেমিনারে আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সেমিনার শেষে তিনি এক ফেসবুক লাইভে আসেন এবং সড়ক নিরাপত্তামুলক নানা কথা বলেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আমার ৩০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি কথা গুলো বলে থাকি। এবং আমি এভাবে কথাগুলো বলে যাব সড়কের নিরাপত্তা যতদিন নিশ্চিত না হবে।
আমি কাউকে প্রতিপক্ষও ভাবিনা কাউকে মিত্রও ভাবিনা। আমার কথা হলো সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এই অভিজ্ঞতাই আমি আবারও অর্জন করেছি এল সালভেদরে সড়ক নিরাপত্তা সেমিনারে এসে।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমাদের বিশেষ করে যান্ত্রিক গাড়ি ব্যবহারে অনউৎসাহিত হতে হবে। সেক্ষেত্রে পায়ে হেটে বা বাইসাকেল ব্যবহার করে আমাদের গন্তব্যস্থানে যাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি মোটরসাইকেল নিয়ে যে কথাগুলো বলেছি। যারা মোটরসাইকেল চালায় তারা আমার বিরোধিতা করছে।
তিনি আরো বলেন আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি মোটরসাইকেল নিয়ে যে কথাগুলো বলেছি। যারা মোটরসাইকেল চালায় তারা আমার বিরোধিতা করছে। কিন্তু আজ আমাদের এখানে যে সেমিনার ছিলো সেই সেমিনারেও এই মোটরসাইকেল নিয়ে কথা হয়েছে। সারা বিশ্বে বর্তমানে মোটরসাইকেল যে একটি প্রবলেম সেই কথাগুলো উঠে এসেছে। এই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কিভাবে কমানো যায়। দুর্ঘটনা কমাতে কি কি টুলস ব্যবহার করা যায় এসব বিষয় নিয়ে এখানে জোরালো ভাবে আলোচনা করা হয়।
ইলিয়াস কাঞ্চন সেমিনারে অনুষ্ঠিত আলোচনা থেকে আরো তথ্য জানান, তিনি বলেন সাউথ এশিয়ার ভেতর আমাদের দেশ বাংলাদেশ,ভুটান ও ভারতে থ্রীহুইলার গাড়ি চলাচল করে। যা কিনা অন্যান্ন দেশে সেভাবে দেখা যায়না। এই গাড়িগুলো ভবিষতের জন্য বড় ধরনের ঝুকিপুন্য বলে আশংখা করা হচ্ছে।
আপনি সঠিক বলেছেন স্যার। আপনার সত্যিকারের ভক্তরা আপনার মতই।
আমিও আপনার মতই সুন্দর সমাজ নিয়ে কথা বলি। আর
নিরাপদ সড়ক
সুন্দর সমাজেরই অন্তর্ভুক্ত।