English

19 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে সড়কে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় নিসচা’র সচেতনামূলক ক্যাম্পেইন

- Advertisements -

আজ ০৮/১০/২০২৩ ইং রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় ২২ অক্টোবর ২০২৩ নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কর্তৃক মাসব্যাপী কর্মসূচীর আলোকে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে সড়কে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় নিসচা সহযোদ্ধারা রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ম ও পথচারীদের সড়কে চলাচল সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষে সচেতনামূলক ক্যাম্পেইন পালিত হয়। এ সময় সড়ক ব্যবহারকারী ও পথচারীদের সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করেন নিসচা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক জনাব ইলিয়াস কাঞ্চন ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

ক্যাম্পেইন চলাকালে নিসচা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনে সর্বপ্রথম দরকার সচেতনতা। পাশাপাশি যারা সড়ক ব্যবহার করেন তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা। তিনি আরো বলেন সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা বহুমাত্রিক হওয়ায় সরকারের একার পক্ষে তা নিরসন করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং কার্যকর উদ্যোগ।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। কিন্তু এই আইনে কিছু কার্যকর দিক থাকলেও এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে প্রচুর। আইনে গতিসীমা লঙ্ঘনে শাস্তির বিধান বর্ণিত থাকলেও গতিসীমা নির্ধারণ হয়নি। আমরা দৃঢ়ভাবে বশ্বিাস করি সড়ক দুর্ঘটনার আচরণগত পাঁচটি মূল ঝুঁকি যেমন অতিরিক্ত গতি, স্টান্ডার্ড হেলমেট ও সিটবেল্ট ব্যবহার না করা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, শিশুদের জন্য নিরাপদ আসনের অনুপস্থিতি বিবেচনায় রেখে সার্বিকভাবে সেইফ সিষ্টেম এপ্রোচ-এর আলোকে যথাযথ আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়িত হলে সড়ক নিরাপদ হয়ে উঠবে।

গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আশার কথা হলো সরকারও এ বছর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস কর্মসূচিতে রাজধানীতে ৫০টি স্কুল ও সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১০টি করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সড়ক নিরাপত্তার উপর উদ্বুদ্ধমূলক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। আমরা সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে দাবী করছি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কাউট, গার্লস্ গাইড, কাব, রোভার স্কাউট-এর আদলে স্বতন্ত্র ‘সড়ক নিরাপত্তা ইউনিট’ গঠনের। যার মাধ্যমে সারা বছর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সড়ক নিরাপত্তার উপর শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। তাতে তৃণমূল থেকে সড়ক নিরাপত্তার প্রতিটি বিষয় নিশ্চিত হবে বলে আমরা মনে করি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় রোডক্র্যাশে। প্রতিদিন প্রাণ হারায় ৩ হাজার ৫০০ জন ও প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ জন। এর মধ্যে ৩০ শতাংশের বয়স ২৫ বছরের নিচে। অর্থাৎ বিশ্বে তরুণরা যেসব কারণে বেশি হতাহত হন তার মধ্যে রোডক্র্যাশ সবার শীর্ষে।এ প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে রোডক্র্যাশে প্রতি বছর প্রাণহানি হয় আনুমানিক ২৫ হাজার মানুষের। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরেও রোডক্র্যাশের সার্বিক হার কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।যা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। অথচ এই সকল অনাকাংখিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য, কিন্তু এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলে কতটা আন্তরিক প্রশ্ন থেকে যায়। সরকার যেহেতু সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যার মূল লক্ষ্য সড়ক দুর্ঘটনা কমানো। সুতরাং আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী যে পক্ষই হোক না কেন তাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

পরিশেষে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বাংলাদেশে বহু দিবস পালিত হয় কিন্তু ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস সেরকম দিবস নয়। এটির মাধ্যমে আমরা শুধু একদিনে দিবসটি উদযাপন করবো না বরং সারা বছর আমরা বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে চালক, মালিক, পথচারি, যাত্রী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, শ্রমজীবী, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখবো এবং দেশবাসিকে সচেতন করার মাধ্যমে দেশকে সড়ক দুর্ঘটনার মহামারী থেকে উদ্ধার করবো ইনশাআল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নিসচার ভাইস চেয়ারম্যান জনাব বেলায়েত হোসেন খান নান্টু, মহাসচিব জনাব লিটন এরশাদ, অর্থ সম্পাদক জনাব আসাদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব এস এম আজাদ হোসেন, যুব বিষয়ক সম্পাদক জনাব এম নাহিদ মিয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও সভাপতি লৌহজং উপজেলা শাখা, জনাব মোঃ কাইয়ুম খান, জনাব আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন, জনাব কামাল হোসেন খান, জনাব স্বপন পাল, ধামরাই উপজেলা শাখা সদস্য জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম, সভাপতি, শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা , জনাব আমজাদ হোসেন রনি, জনাব নজরুল ইসলাম ফয়সাল, জনাব আব্দুল মান্নান ফিরোজ, হূমায়ুন আহমেদ হিমু, জনাব কামরুজ্জামান, জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, জনাব সিফাত-ই রাব্বানি, জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম, জনাব হৃদয় হোসেন, জনাব ইয়াছিন আরাফাতসহ অন্যান্য সহযোদ্ধারা।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন