English

16 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

ব্যক্তি স্বার্থের জন্যই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে: বগুড়ায় মতবিনিময় সভায় ইলিয়াস কাঞ্চন

- Advertisements -

ব্যক্তি স্বার্থের জন্যই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সাংবাদিক ও সুধী সমাজের সাথে মতবিনিময় সভায় এমন কথা বলেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় বগুড়া পর্যটন মোটেলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বগুড়া জেলা কমিটি আয়োজিত উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া কমিটির সভাপতি রোটা: মোস্তাফিজার রহমান ও সঞ্চালনা করেন সাধারন সম্পাদক রকিবুল ইসলাম সোহাগ।

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমরা সবাই ব্যক্তি স্বার্থে ডুবে গেছি। ব্যক্তি স্বার্থের জন্যই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা অসভ্য এক জাতিতে পরিণত হয়েছি। আমরা কেউই আইন ও নিয়ম মানিনা। এজন্য আমারা দুর্ঘটনা থামাতে পারছিনা৷ একজন চালক দিনে ও রাতে টানা গাড়ি চালান। এখানে চালক ও মালিকের ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার
হয়। উভয়েই লাভবান হয়। পরিবহন সংগঠনগুলো চাঁদাবাজি করে এখানে তাদের স্বার্থ। আমরা অল্প সময়ের রাস্তাকে আরও অল্প করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলি। তবে এই স্বার্থ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যাদের তারা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না। জাতিসংঘের গাইডলাইন মেনে চললে আজ দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হতো। যারা দুর্ঘটনার শিকার হয় তারা বেশিরভাগ গরিব মানুষ। তাই তারা বিচার পাইনা আইনের আশয় নিতে পারেনা। সব মিলিয়ে সরকারও ভোটের স্বার্থে কাউকে কিছু বলতে পারেনা। আমাদের উচিত দেশকে ভালোবেসে সত্যিকার সোনার বাংলা গড়তে নিজ নিজ জায়গা থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা।

মত বিনিময় সভায় ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ১০ থেকে ১২ কদম কম হাটার জন্য সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আড়াআড়ি রাস্তা পারাপার হয়। মহাসড়কে এখন দেদারসে ইজি বাইক, নছিমন ভটভটি চলাচল করে। ইজিবাইক ভটভটি চলাচল বন্ধ করার কথা বললে বলা হয় এটা বন্ধ করলে তারা কি খেয়ে বাঁচবে। ইলিয়াস কাঞ্চন প্রশ্ন রেখে বলেন যখন ইজি বাইক ছিলো না। তখন তারা যা করতে এখনও তই করবে। তিনি বলেন ইজি বাইক চালিয়ে যেমন তাদের বাঁচার অধিকার আছে, তেমনি সাধারণ মানুষেরও নিরাপদ ভাবে বাঁচার অধিকার আছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের অধিবেশনেও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নিরাপদ সড়ক কোন কল্পনা নয়। যথাযথ আইন এবং এর বাস্তবায়ন করলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব। এজন্য বাস,ট্রাক চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। একনাগাড়ে বেশিক্ষণ গাড়ি চালাতে দেওয়া হবেনা। ৫ থেকে ৬ ঘন্টার বেশি যাতে গাড়ি না চালাতে হয়, সেই ব্যবস্থা মালিকদের নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসান-উল হক কামাল, নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আজাদ হোসেন, হাইওয়ে পুলিশের সিনিয়র সহকারী সুপার হরেশ্বর রায়, বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা আকতার, বগুড়া বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মাইনুল ইসলাম, নিসচার বগুড়া জেলা কমিটির উপদেষ্টা মশিহুর রহমান।

মতবিনিময় সভায় সড়ক দুর্ঘটনায় সদ্য স্ত্রী ও ছেলেকে হারানো প্রকৌশলী হেলাল এবং বিআরটিএ বগুড়ার সহকারি পরিচালক এটিএম মইনুল হাসানের আবেগঘন বক্তব্য উপস্থিত সকলকে আবেগতাড়িত করে।

আরও উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, বগুড়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম আখতারুজ্জামান, বগুড়া প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম বাবু, সাংবাদিক মহসিন আলী রাজু, জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাঃ সম্পাদক অ্যাডোনেস বাবু তালুকদার, সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী-সন্তান হাড়ানো ইঞ্জিনিয়ার হেলালুদ্দিন।

আলোচনা সভায় বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক সহ সকল মহল থেকে সড়কের নিরাপত্তা সু-সংঘটিত করার উপরে গুরুত্বআরোপ করেন এবং বগুড়ার সড়কের নানা অব্যাবস্থাপনার বিষয়গুলোও উঠে আসে। সভায় সকলের বক্তব্য থেকে কিছু বিষয় উঠে আসে তা হলো সকলের সমন্বিত সৎ ইচ্ছাই পারে দুর্ঘটনা রোধ করতে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন