‘গতি কমান, জীবন বাঁচান’ স্লোগানে আজ নিরাপদ সড়ক চাই এর আয়োজনে কালশী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সকাল ১০:৩০ টায় বাস ট্রাক চালকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জনাব আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্, মাননীয় সংসদ সদস্য, ঢাকা-১৬। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ইলিয়াস কাঞ্চন, চেয়ারম্যান, নিরাপদ সড়ক চাই। কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন, জনাব লিটন এরশাদ মহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই। চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন, জনাব এসএম আজাদ হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক, নিরাপদ সড়ক চাই।
গাড়ী চালকদের যত গতি, তত ক্ষতি সম্পর্কিত সচেতনামূলক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব আবুল হোসেন, সভাপতি, বাংলাদেশ আঞ্চছিল ট্রাক ও মিনি ট্রাক চালক ইউনিয়ন। জনাব লাভলু সরদার, কার্যকরী সভাপতি, বাংলাদেশ আন্তঃছিলা ট্রাক ও মিনি ট্রাক চালক ইউনিয়ন। নাব মো: শওকত হোসেন সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক ও মিনি ট্রাক চালক ইউনিয়ন। জনাব মো: আশরাফ আলী, সভাপতি, কালশী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। জনাব আবুল হোসেন, প্রধান শিক্ষক, কালশী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। জনাব আসাদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক, নিরাপদ সড়ক চাই। জনাব মোঃ সারোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আন্তঃ জেলা ট্রাক ও মিনি ট্রাক চালক ইউনিয়ন জনাব মো: ইমরান হোসেন রানা, কেন্দ্রীয় সদস্য, নিরাপদ সড়ক চাই।
কর্মশালায় প্রধান বক্তা নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন তার বক্তব্যে বলেন, সড়কে শুধু নয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কিছু অনাকাংখিত ঘটনা। আজ অনেক চালক অভিয়োগ করেছেন গাড়ি চালাতে গিয়ে নানা ঝামেলার সম্মুখিন আপনাদের হতে হয়। কিন্তু এই ঝামেলাগুলো দুর করতে কে এগিয়ে আসবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন নিজের ঝামেলা আমাদের নিজেদের মুক্ত করতে হবে।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন অনেক চালক আজ সড়কে চাদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এই চাঁদাবাজদের কে রুখবে। আমাদেরকেই রুখতে হবে। তিনি চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন। সড়কে চাঁদাবাজ কয়জন থাকে ২০ থেকে ৫০জন। আপনারা গাড়ি চালক সড়কে কয়জন থাকেন? সব চালক যদি এক হন। সবাই যদি একসাথে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন ঐ হাতে গোনা ২০-৫০ জন চাঁদাবাজ কি আর চাঁদাবাজি করবে? ইলিয়াস কাঞ্চন চালকদের নিজেদের অধিকার আদায়ে সকল চালকদের এক সাথে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন সকলে মিলে যখন কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয় তখন কোন অপশক্তি আর বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা।
চালকদের জীবনমান উন্নয়নে চালকদেরই এগিয়ে আসতে হবে। দাবি তুলে ধরতে হবে। চালকরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন তা গাড়ির মালিক পক্ষকে জানাতে হবে। অনেক সময় চালকরা চাকুরী হারাবার ভয়ে মুখ বুজে থাকেন নিজেদের অধিকারের কথা বলেন না। এভাবে চালকরা আস্তে আস্তে সব কিছু মেনে নিয়ে চলা শুরু করেন। আমরা সব কিছু এভাবে মেনে নিয়ে চলতে চলতে এক সময় সেটাই নিয়ম হয়ে যায়। অথচ আমরা সব বিষয় মেনে না নিয়ে সাথে সাথে প্রতিবাদ করলে আজ এমনটা হতো না। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়কে চাঁদাবাজি হয় আপনারা এটা মেনে নিয়েছেন। রাস্তায় চলতে গেলে চাঁদা দিতেই হবে। এখন এটাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে। কিন্তু সব চালক যদি একসাথে প্রতিবাদ করেন তাহলেই আর মেনে নিয়ে চলতে হতোনা সমস্যা থেকে সমাধান আসত।
কর্মশালায় ইলিয়াস কাঞ্চন চালকদের সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানোর নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এবং চালকদের অধিকার আদায়ে চালকদের পাশে থেকে সর্বদা কাজ করার প্রতিশ্রতি প্রদান করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।