শয়তানকে যখন সৃষ্টিকর্তা বললেন আদমকে সিজদা করো। তখন সব ফেরেশতারা সেজদা করলে সে সিজদা করেনি। তখন সৃষ্টিকর্তা জিজ্ঞাসা করলেন তোকে কিসে বাধা দিল? আদমকে সিজদা করতে। তখন সে অজুহাত তৈরি করছিল।
বলল যে না মানে, আল্লাহ হয়েছে কি? মানে ব্যাপারটা হইল কি? যে সে হল তৈরি আর আমি হলাম যে আগুনের তৈরি এই তখন অজুহাত সৃষ্টি হয়। আর সেই অজুহাত আমাদের এই যে নিত্যপণ্য যারা ব্যবসায়ী তারা একদম শুরু থেকেই কিন্তু এটা ধরেছে।
শয়তানের সেই অজুহাতটা কিন্তু তারা ধরে আছে তারা বৃষ্টি হইলে দাম বেড়ে যাবে। গরম হলে দাম বেড়ে যাবে। ঠান্ডা হলে বাতাস একটু বেশি হলে দাম বেড়ে যাবে। বাতাস একটু কম থাকলে দাম বেড়ে যাবে। তো কোনটা আমাদের পক্ষে আমরা যারা নিত্য পণ্য কিনবো বাজারে গিয়ে তাহলে আমাদের পক্ষে কোনটা। সব অজুহাত তো আপনাদের মধ্যেই। সেই জন্য আমি আজকে এই ব্যাপারটি বলতে চাই। যথেষ্ট হয়েছে।
দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি আপনাদের আচরণ, আপনাদের বিহেভ, আপনাদের অজুহাত আপনারা দূর করুন। দেশের মানুষকে প্রত্যেকদিনই এই বাজারে গিয়ে লাঞ্ছনা, গঞ্জনা এবং না কিনতে পারা অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়।
নিরুপায় মানুষগুলোকে নানান ভাবে আপনারা কষ্ট দিচ্ছেন। সারা পৃথিবীতে উৎসব পার্বনের সময় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয় যাতে মানুষ উৎসব পার্বনগুলো যেন ভালোভাবে করতে পারে। আর আমার দেশের মধ্যে উল্টা কারবার। রমজান মাস সেইখানে দাম বাড়ায় ঈদে সেইখানে দাম বাড়ায়।
এবং অনেকে আছেন যাদেরকে দেখলে মনে হয় যেন পীর সাহেব ব্যবসা করছেন। এ পীর সাহেবরাও কিন্তু এই একই কাজই করছেন।
সেই জন্য আমি আপনাদেরকে এই সময়ের মধ্যে এই দেশটা গড়ার জন্য সকলে যে চেষ্টা করছে তার সঙ্গে সহযোগী হন। সহযোগী হয়ে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য যেটা সত্যিকারের দাম সেটা নিন।
আপনারা বলেন, জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না কিন্তু আমি প্রত্যেকটা দোকানের মধ্যে দেখি প্রচুর জিনিস থাকে।
টাকা দিলে জিনিস পাওয় যায়। তাহলে জিনিস পাওয় যাচ্ছে না কোথায়?
যে জিনিসটা পাওয় যাচ্ছে না জিনিসটা পাওয় না গেলে না হয় একটার দাম বাড়তে পারে। বেশি দাম দিলে পাওয়া যাচ্ছে অথচ বলেছেন জিনিসের ক্রাইসিস। তো এই যে এই জিনিসগুলো আপনারা বন্ধ করেন।
আপনারা আখেরাতের কথা চিন্তা করেন। ব্যবসাকে হালাল করেছেন আল্লাহতালা।
ইলিয়াস কাঞ্চন ক্রেতা সাধারণকে বলেন, যখন ক্রাইসিস থাকবে তখন আমরা যেন হুমড়ি খেয়ে না পড়ি আমাদের প্রত্যেকদিন যতটুকু দরকার আমরা যেন সেইটুকু বাজার থেকে নিয়ে আসি। শেষ হয়ে যাবে কি খাবো অমুক হবো তমুক খাবো এইগুলো আপনারা ভাববেন না। রিজিকের মালিক হলেন আল্লাহ। আমাদের রিজিক কিন্তু আমাদের মায়ের পেটের মধ্যেই উনি দিয়ে দিয়েছেন। আমি কতটুকু খেতে পারবো কতটুকু আমার আসবে সেটা কিন্তু আমার মায়ের পেটেই আমার রিজিকের ব্যবস্থা আল্লাহতালা আমার কপালের মধ্যে লিখে দিয়েছেন।