বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারের উদ্দেশ্য ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা। বিগত ১৬ বছরে কোনো নিয়ম নীতি মানা হয়নি। ব্যাংকগুলোয় ১৮ হাজার কোটি টাকা শর্টেজ এমনিতে হয়নি। আমরা আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। ব্যবসা বাণিজ্যে আননেসেসারি অবস্ট্যাকল (অপ্রয়োজনীয় বাধা) যা আছে তা কমাতে চাই।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) একটি প্রতিনিধি দল। বাণিজ্য উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলের উদ্দেশ্যে একথা বলেন। সাক্ষাৎকালে ব্যবসা সহজীকরণ, ট্যারিফ হ্রাস, শিপিং সুবিধা, বন্দরের জটিলতা, যানজট ও ক্যাসলেস ট্রানজেকশন বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
এসময় যানজট প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রায়ই ঢাকায় যানজট হচ্ছে, গুলশান-বনানীতেও দেখি উল্টো পথে গাড়ি চলছে। আঠারো কোটি মানুষের জন্য তো এক কোটি ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা যাবে না। প্রয়োজন সিভিক সেন্স (নাগরিকসুলভ শিষ্টাচার বোধ) জাগ্রত করা।
অ্যামচ্যাম প্রতিনিধিরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডিফার্ড পেমেন্ট (বিলম্বিত পরিশোধ) যুগোপযোগী ও ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে ক্যাশ ইনসেন্টিভ (ক্যাশ সহায়তা) চালুর দাবি জানান। তারা মনে করে এর ফলে ক্যাসলেস সোসাইটি গঠন দ্রুত হবে। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, আ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, এক্সিকিউটিভ মেম্বার মইনুল হক, রুবাবা দৌলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।