প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে সমুদ্রসীমার ওপর যে আমাদের অধিকার আছে সেটি কখনই প্রতিষ্ঠিত হতো না। আমরা এখন যে সমুদ্রসীমা পেয়েছি সেই সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি। বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সাগর। বিশ্বের অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য এখান থেকে চলাচল করে। সেদিক থেকে এখানে আমাদের অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে যারা বাস করেন তাদের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নতি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সমুদ্র সম্পদকে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই।
আজ রবিবার (১৫ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চয়ালি বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নতুন ১০টি নৌযানের কমিশন দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশন হওয়া ১০টি নৌযান হলো- দু’টি অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল (ওপিভি) বিসিজিএস মনসুর আলী ও বিসিজিএস কামরুজ্জামান, পাঁচটি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল (আইপিভি) বিসিজিএস সবুজ বাংলা, বিসিজিএস শ্যামল বাংলা, বিসিজিএস সোনার বাংলা, বিসিজিএস অপারেজয় বাংলা ও বিসিজিএস স্বাধীন বাংলা, দু’টি ফাস্ট প্যাট্রোল বোট (এফপিভি) বিসিজিএস সোনাদিয়া ও বিসিজিএস কুতুবদিয়া এবং বিসিজি বেইজ ভোলা।
কমিশনিং অনুষ্ঠানে গণভবন ছাড়াও চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কোস্টগার্ড বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন এ ১০টি নৌযান যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে কোস্টগার্ড আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৯৬ সালে সরকারে আসার পর থেকেই কোস্টগার্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করি। ২০০৯ সাল থেকে আমরা আরও ব্যাপকভাবে উন্নয়নে কাজ করি। ২৭টি কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ ৫৫টি অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। গত ১২ বছরে কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন আকারে ৫৫টি জাহাজ ও জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেস নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা আমাদের কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন