English

28 C
Dhaka
বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০২৪
- Advertisement -

সব স্থাপনায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

- Advertisements -

শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ যে কোনো ভবন নির্মাণের আগে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৪ এপ্রিল) দেশে নতুন ৪০টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তাগিদ দেন তিনি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সরকার প্রধান।

দেশের প্রতি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন গড়ে তোলার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের সুরক্ষার জন্য দেশের দুর্গম অঞ্চলেও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করা হচ্ছে। জুনে আরও ৫৫টি স্টেশন হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার ফায়ার ফাইটিং দলকে আধুনিক সরঞ্জামে শক্তিশালী করছে, নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। উদ্ধারকাজে যাওয়া অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের ওপর আক্রমণকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ফায়ার সার্ভিসে জনবল বৃদ্ধিতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করা হয়েছে। ২০০৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানে জনবল ছিল ছয় হাজার ১৭৫ জন। বর্তমানে জনবলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬১৫ জন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ২৫০টি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া দুটি প্রকল্পের অধীন ২০১২ সালে ৯৫টি ফায়ার স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলে। এর মধ্যে ৪০টি স্টেশনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। বাকি নির্মাণাধীন থাকা ৫৫টি ফায়ার স্টেশনের কাজ জুনে শেষ হবে।

নতুন ৪০টি ফায়ার স্টেশন হলো- টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ফায়ার স্টেশন, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, দৌলতপুর ও সাটুরিয়া ফায়ার স্টেশন, গাজীপুরের কাপাসিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর (পুনর্নির্মাণ) ও সিরাজদিখান, মাগুরা সদর (পুনর্নির্মাণ), কিশোরগঞ্জের নিকলী স্থল কাম-নদী, ঢাকার কল্যাণপুর, জামালপুর সদর ও সরিষাবাড়ি (পুনর্নির্মাণ), যশোর সদর ও ঝিকরগাছা (পুনর্নির্মাণ), যশোর সেনানিবাস, যশোরের চৌগাছা ও কেশবপুর, বাগেরহাটের মোল্লাহাট, ফরিদপুর সদর (পুনর্নির্মাণ), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, কিশোরগঞ্জের ইটনা, অষ্টগ্রাম, হোসেনপুর, মিঠামইন ও পাকুন্দিয়া, মেহেরপুরের মুজিবনগর, রাজবাড়ীর কালুখালী, সাতক্ষীরার দেবহাটা, নোয়াখালীর কবিরহাট, বিবাড়ীয়ার বিজয়নগর, বান্দরবানের থানচি ও রামু, খুলনার দাকোপ ও বটিয়াঘাটা, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, নেত্রকোনার পূর্বধলা, ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং মাদারীপুরের কালকিনি ফায়ার স্টেশন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন ও ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইনসহ অন্য কর্মকর্তারা।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন