স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, মন্দির-মণ্ডপে হামলার ঘটনায় যে যা যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবগুলো উইং বিষয়টি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। আমরা সব বের করে ফেলব, তবে একটু সময় চাইছি।
আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ হামলার উদ্দেশ্য হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা। রংপুরে আমাদের লোক কাজ করছে। আমাদের সমস্ত উইং কাজ করবে। ফেসবুকের যে সব লিঙ্ক থেকে গুজব ছড়ানো হয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুস্কৃতকারীরা বাড়িঘর লুট করেছে। ৯০টির বেশি বাড়িঘর লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনাগুলো পুলিশ যাওয়ার আগেই ঘটিয়েছে এবং রাতেই ঘটনার সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব, বিজিবি গেছে। আমাদের নিরাপত্তার যত ধরনের ব্যবস্থা তা আমরা গ্রহণ করেছি। কিন্তু এই ঘটনাটি আকস্মিকভাবেই দুস্কৃতকারীরা ঘটিয়ে ফেলেন। সেখানে কোনো জীবনহানি হয়নি। তবে সম্পদহানি হয়েছে, বাড়িঘর পুড়েছে। আমরা মনেকরি এই লোকদের আমরা চিহ্নিত করেছি তাৎক্ষণিকভাবেই।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। এই হামলার উদ্দেশ্য হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা। এই হামলার উদ্দেশ্য হলো অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে বাংলাদেশকে দূরে সরিয়ে রাখা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনাটি আমরা শিগগিরই জানাব। আমার তদন্তে খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। কুমিল্লার ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলক, এটি সম্প্রীতির বন্ধন বিনষ্ট করার কৌশল; সেটি না বুঝেই অনেকে অনেক কিছু করে ফেলেছেন। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশ বাধ্য হয়ে ফায়ার করেছে। সেখানে চারজন নিরীহ মানুষ মারা গেছেন। নোয়াখালীতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য খাবারের বিরতিতে থাকার সুযোগে কিশোর বয়সীরা এসে হামলা চালায়। আমরা বেশকিছু টেলিফোন বার্তাও পেয়েছি। যেগুলো শুনছি। একটু সময় চাইছি। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা হামলাকারীদের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে পারব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।