স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সমগ্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। মহামারি দীর্ঘায়িত হলে ব্যাহত হওয়া শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজতে হবে।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) এবং ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি নেটওয়ার্ক ফর এডুকেশনের যৌথ উদ্যোগে হাই লেভেল রাউন্ড টেবিল ফর পার্লামেন্টারিয়ান্স অন এডুকেশন ফিন্যান্সিং শীর্ষক ভার্চুয়াল গ্লোবাল এডুকেশন সামিটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
আজ শুক্রবার (৪ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সামিটে বক্তৃতা রাখেন জোই কোহেনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সামিটে জুলিয়া গিলার্ড, হ্যারিয়েট বাল্ডউইন, জোসেফ হান ওরিলি, নাটালিয়া ইলিনা ইন্টোটেরো, শ্রদ্ধা কৈরালা, মিনিস্টার সেংগেহ, স্টিফেন টুইগ, মার্গারেট কামার, জিয়াদ আব্দুল তাইফ, জর্জ আমিলাখভারি, হৃদয় নারায়ণ দিক্ষিত, সাইকোবা জারজু, ফাতিমা কোহেস্তানি, ডামিয়েন কুরেক, জালালুদ্দিন আলিয়াস প্রমুখ।
সামিটে স্পিকার বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার এজেন্ডা অনুযায়ী কেউই পিছিয়ে থাকবে না। কভিড-১৯ মহামারি যেন শিক্ষাখাতে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে না পারে সেজন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
তিনি বলেন, কভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত শিক্ষা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন’ যে সব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, তা অনুসরণ করলে সংসদ সদস্যরা শিক্ষাখাতকে বাঁচাতে সহজেই ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিরূপণ করতে পারবেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শহর ও গ্রামে অনলাইন প্রক্রিয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম সচল করতে ইন্টারনেট ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মোবাইল ডাটা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় একটি চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে, বাজেটে অতিরিক্ত আর্থিক বরাদ্দের প্রয়োজন হবে। শিক্ষাখাতকে বাঁচাতে বিকল্প ও সৃজনশীল পন্থা খুঁজে বের করে সংসদ সদস্যদের কাজ করার এখনই সময়।
স্পিকার বলেন, বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম থেকে বিরত রেখে প্রান্তিক, অনগ্রসর ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত রাখার উপায় খুঁজে বের করা সংসদ সদস্যদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
কভিড-১৯ মহামারি শিশুদের ঝড়ে পড়ার হার যেন বাড়াতে না পারে সেজন্য উপবৃত্তির আওতা বাড়ানো যেতে পারে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে উপবৃত্তি খাতে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।