পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। অথচ, যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তাদের কিছু হয় না। পরিণতি ভোগ করছি আমরা। যুদ্ধ থামাতে যে ধরনের পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করা হলে ভালো হয়।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বের সব সদস্যদের নিয়ে কাজ করলেও পাঁচ স্থায়ী সদস্যের কাছেই সবকিছু। প্রতিষ্ঠাকালে তারা তাদের মতো করে সাজিয়ে রেখেছে। এটার পরিবর্তন হওয়া দরকার। সবার সমান সুযোগ থাকা দরকার। জাতিসংঘের নারী উন্নয়ন, শিশুমৃত্যুর হার কমানো, স্বাস্থ্যের উন্নয়নে যেমন অবদান আছে, তেমনি তাদের ব্যর্থতাও রয়েছে। যুদ্ধ থামাতে জাতিসংঘ সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারও সঙ্গে শত্রুতা না করে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চান। বঙ্গবন্ধুরও এই একই নীতি ছিল। আমরা সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক করতে পারলে আর অভাব-অনৈক্য থাকবে না। যুদ্ধ-বিগ্রহ থাকবে না, সন্ত্রাস থাকবে না।
গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়ে ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এবার আমাদের মাঝে সুযোগ এসেছে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার। আমেরিকার দুজন সিনেটর এ বিষয়ে প্রস্তাব এনেছেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের তথ্য সরবরাহ করে সহযোগিতা করতে হবে। এ জন্য গণহত্যা মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গবেষকদের তথ্য দিতে হবে। আমরা এটা নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি।
সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম। ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক রশিদ আসকারী, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার পরিচালক আজিজুর রহমান প্রমুখ।