রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করার কাজ কমিশনের নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন সংবিধান অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। রাজনৈতিক সমঝোতা বড় কথা নয়। যে দল আসবে আমরা তাদের নিয়েই নির্বাচন করবো। সে অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি।
রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপে ডাকবেন কি? এ বিষয়ে ইসি রাশেদাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
এর উত্তরে তিনি বলেন, সংলাপের কোনো উদ্যোগ হয়নি। কখন কীভাবে সংলাপ করবো, যখন হবে তখন দেখা যাবে। আস্থার জায়গা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা কাউকে একটা আম খেতে দিলাম, তখন কেউ যদি বলে আমে বিষ আছে খাবো না, তখন তাকে কীভাবে আস্থায় আনবো। কীভাবে বোঝাবো আমে বিষ নেই। উনারাদেরও (নির্বাচন বর্জনকারী) আস্থা ও মানসিকতার উন্নয়ন করতে হবে।
সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন চায় দাবি করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের একটা অবস্থান আছে, আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো। এটা আমাদের অঙ্গীকার। যেহেতু আমরা শপথ নিয়েছি ভালো নির্বাচনই করবো। আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠাবান যে ভালো নির্বাচন করবো। এটা বিশ্বাস করা না করা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। দেখেন এ পর্যন্ত আমরা যতগুলো নির্বাচন করেছি কোথাও কোনো ব্যত্যয় করছি? কোনো আইন ভঙ্গ করছি? আমরা ভালো নির্বাচন করার চেষ্টায় আছি। আমরা চাই একটা ভালো নির্বাচন হোক। এজন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই।
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকারের সহায়তার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সহায়তা নিতেই হবে। উনারা (সরকার) সহায়তা না দিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকারও চায় একটা ভালো নির্বাচন হোক। আমরা এর বিশ্বাস রাখি। তবে পারবো কি পারবো না এটা এখন বলা যাবে না। যখন পারবো না, তখন ঘটে গেলে বলা যাবে। ভবিষ্যতে কি হবে এটা বলা যাবে না। আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করে যাচ্ছি একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের। আমাদের চাওয়া ও লক্ষ্য একটাই সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন। ভোটার আসবে ভোট দেবে এটাই চাওয়া।
বিদেশি পর্যবেক্ষক না এলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা হারাবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, পর্যবেক্ষক এলেও গুরুত্বপূর্ণ, না এলেও গুরুত্বপূর্ণ। পর্যবেক্ষক যদি কেউ না পাঠায়, তাহলে আমাদের দেশে কি পর্যবেক্ষক নেই? আমাদের কি জনগণ নেই? আমাদের বড় পর্যবেক্ষক আমাদের জনগণ। আমাদের মিডিয়া আছে মিডিয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন।