কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তথা লাশের খবর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার আশপাশে সারাদেশ থেকে শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা এসে আশ্রয় নিয়েছিল। ছাত্র আন্দোলনে লাশ পড়ার আগেই স্টেট ডিপার্টমেন্টের (মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর) বক্তব্য চলে এল যে, লাশ পড়ে গেছে। লাশের খবর দিলো কে তাদের? লাশ ফেলার নির্দেশটা কে দিল?’
তিনি বলেন, ‘যারা আজ দেশের সর্বনাশটা করল, তারা গণমানুষের জন্য বানানো সব স্থাপনায় আঘাত করল। ক্ষতি হলো জনগণের। তাই জনগণকেই এই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, সোচ্চার হতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা এনেছি আমরা, এটা তো বৃথা যেতে পারে না। যতক্ষণ আছি, ততক্ষণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, তার জন্য যা যা করণীয় আমি করব। তাতে কে গালি দিল, আর সুনাম করল, ওইটা নিয়ে আমি চিন্তা করি না। আমি চাই দেশের মানুষ ভালো থাকুক।’
বৈঠকে অংশগ্রহণ করা সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পেয়েছে মানুষ, এবার কুফলটা পেল। মানুষকে দোষ দেই না আমি। মিথ্যাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষায়, মানুষ যাতে সঠিক সংবাদ জানতে পারে, সেভাবেই সংবাদ পরিবেশন করুন আপনারা।’