শিগগিরই সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীবাহিনীদের মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, দুই দেশের সীমান্তে যে কমিটমেন্ট রয়েছে তা মেনে চললে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে পারব।
তিনি বলেন, আমাদের খামারিরা এখন যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে। ভারত গরু না দিলে আমরাও নিতে চাই না। তারপরও অতিলোভী দুই-একজন ব্যবসায়ী সীমান্তে সেগুলো করে এজন্যই সীমান্তে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
আজ শনিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে অনেক সময় সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এ কারণে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে ও বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়েও আলোচনা চলছে।
তিনি আরো বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে আমরা আরো তৎপর হয়েছি। সীমান্তে শুধু বিওপির সংখ্যায়ই বাড়ানো হয়নি, আমরা বর্ডার সার্ভেইলেন্স সিস্টেম উন্নত করেছি। শুধু তাই নয়, মোটরযান বলুন আর আধুনিক প্রযুক্তি বলুন সবই আমরা সংগ্রহ করেছি এবং বিজিবিকে আরো সমৃদ্ধ করেছি।
তিনি বলেন, আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে যে ধরনের চোরাচালান ছিল সেগুলো এখন আর নেই। সব ধরনের চোরাচালান আমরা শূন্যের কোঠায় নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে এমনও কিছু বাড়ি আছে, যারা সীমান্তের খুব কাছাকাছি। সীমান্ত এলাকার ওই লোকজনের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক থাকে এবং তাদের সবসময় ভারতে যাতায়াত রয়েছে। এ কারণেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি।