English

21 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
- Advertisement -

বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস

- Advertisements -

আম্মানের দ্যা রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার। এবার তারা ২০২৫ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাদের প্রকাশিত এ তালিকায় ৫০ নম্বরে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের প্রভাব ও অবদান পর্যালোচনা করে প্রকাশিত হয় ‘দ্য মুসলিম ৫০০: দ্য ওয়ার্ল্ডস ৫০০ মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস।’ প্রায় ১৬ বছর ধরে তারা বিশ্বজুড়ে প্রভাব ও অবদান পর্যালোচনাপূর্বক মুসলিমদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে।

প্রকাশিত এই তালিকায় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে প্রভাবশালী মুসলিমদের নির্বাচন করা হয়। এই ক্যাটাগরিগুলো হলো ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া ও বিনোদন। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেসব মুসলিম ব্যক্তিত্বকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

এবার এ তালিকায় ৫০ নম্বরে স্থান পেয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোফাইন্যান্স ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান এবং বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব তাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি তিনি বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে অন্যতম মুখ।

এ তালিকায় বাংলাদেশের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও আরও দুই নারী রয়েছেন। তারা হলেন ড. হামিদা হোসেন ও রাজিয়া সুলতানা।

ড. হামিদা হোসেন বাংলাদেশের ও সারা বিশ্বের মানবাধিকার-নারীর বিষয়ক অনেক বই এবং নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তিনি আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (বিডিআই) আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার লাভ করেন।

অপরদিকে রাজিয়া সুলতানা একজন বাংলাদেশি আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। যিনি রোহিঙ্গা জনগণের জন্য অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। তিনি শতাধিক রোহিঙ্গা নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। বর্মী নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা যৌন নির্যাতনের কাহিনী প্রকাশ করেছেন। তিনি ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের (এফারসি) সমন্বয়ক ও আরাকান রোহিঙ্গা জাতীয় সংগঠনের (এআরএনও) পরিচালক। ২০১৯ সালে তিনি আন্তর্জাতিক নারী সাহসী পুরস্কার লাভ করেন।

এদিকে ২০২৫ সালের প্রকাশিত তালিকার নারী বিভাগের ‘ওমেন অব দ্য ইয়ার’ হয়েছেন জর্ডানের রানী রানিয়া আল-আবদুল্লাহ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করছেন।

এই তালিকায় আরও অনেক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব যেমন, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবন আল-হুসেইন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, এবং ইরানের আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিসহ শীর্ষস্থানীয় মুসলিম ব্যক্তিত্বরা স্থান পেয়েছেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন