প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।
বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি আজ এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ইসলামের উন্নয়ন, প্রচার, প্রসার এবং খেদমতে বহু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদরাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাবলীগ জামাতের জন্য কাকরাইল মসজিদে জমি দান করেন এবং টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। তিনি কম খরচে হজ পালনের জন্য হিজবুল বাহার জাহাজ ক্রয় করেন এবং বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী প্রেরণ করেন।
জাতির পিতা মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন। তার কূটনৈতিক দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মহান আল্লাহর দরবারে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।