বিএনপির গণতান্ত্রিক কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে চায় তাহলেও তাদের বাধা দেওয়া হবে না। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে চা খাওয়াব। তবে বিএনপি বোমাবাজি, ভাঙচুর করলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
আজ শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর যৌথ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি যদি গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করতে চায় তাহলে কোনো সমস্যা নেই। আন্দোলন করলে বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া হতো তা পুরোটাই উঠিয়ে ফেলা হবে। দেখি না কতটুকু আসতে পারে। যত দূর হেঁটে আসতে পারে আসবে। তাদের সঙ্গে বসব। কথা শুনব। ‘
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হয়, মানুষ ভালো থাকে। দুর্যোগ, দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৩০০ সিটে যদি একটি দল ৭৫০ মনোনয়ন দেয়, তাহলে তাদের নির্বাচন কী করে হয়? একজন বিএনপি অফিস থেকে, আরেকজন লন্ডন থেকে, আরেকজন গুলশান অফিস থেকে দিয়েছেন। যারা এভাবে নির্বাচন করে, তারা নির্বাচনে জিতবে কী করে?
তিনি বলেন, ‘বিএনপি যে ২০০৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, অর্থপাচার কী কাজটা না করেছে। তাদের দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক বিদ্যুতে বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়, যোগাযোগে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে এনেছে। আমরা পরপর তিনবার ক্ষমতায়। এ জন্য বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। ‘
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতি করেছে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা মানে দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মানি লন্ডারিং। যারা এসব কাজে ব্যস্ত থাকে তারা তো দেশের জন্য কাজ করবে না। বিএনপি যখন ছিল তখন বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দেশের নির্বাচনব্যবস্থায় ডিসিপ্লিন এসে থাকলে আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, কামরুল ইসলাম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজম, আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, দেলোয়ার হোসেন, বিপ্লব বড়ুয়া, সেলিম মাহমুদ, আমিনুল ইসলাম, সায়েম খান প্রমুখ।