প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা জেলার নবনির্মিত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) ভবনের রেপ্লিকা উপহার দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বুধবার গণভবনে সিজেএম ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই উপহার তুলে দেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এই ভবন উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসএসসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকার জেলা জজশীপের বিচারকরা, মহানগর জজশীপের বিচারকসহ সকল ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবী নেতারা ও সাধারণ আইনজীবীরা।
নবনির্মিত বহুতল ভবনে নানাবিধ সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে ১২ হাজার ৩২৯ বর্গফুটের বেইজমেন্টে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মালখানা, স্টাফ কক্ষ, ওয়াটার রিজারভার ও ফায়া পাম্প ঘাট রয়েছে। ১৫ হাজার ২৩০ বর্গফুটের গ্রাউন্ড ফ্লোরে গাড়ি পার্কিং, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও জেনারেটর রুম, অভ্যর্থনা ও ড্রাইভার ওয়েটিং রুম। ভবনের প্রথম তলায় নেজারত সুম, স্ট্রং রুম, স্টোর কিপার, সেরেস্তা রুম ও কম্পিউটার রুম। দ্বিতীয় তলায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও স্টাফ রুম, এডিশনাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও স্টাফ রুম, কনফারেন্স রুম, লাইব্রেরি। তৃতীয় তলায় ডিসি প্রসিকিউশান, কোর্ট ইনসপেক্টর রুম, জি.আর এবং নন জি.আর সেকশন, পুলিশ রেকর্ড রুম, মটর ভিইকেল সেকশন, আইটি সেকশন রয়েছে।
চতুর্থ তলায় লিগাল এইড অফিস, মটর ভিয়াইকেল সেকশন, নারী ও শিশু জি.আর সেকশন, মাদক জি.আর সেকশন, কোর্ট সাব ইন্সপেক্টর রুম রয়েছে। পঞ্চম থেকে অস্টম তলার প্রতি ফ্লোরে ৪টি করে এজলাস, জাজেজ খাস কামরা ও স্টাফ রুম, প্রতি তলায় ভবনের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে কমন টয়লেট জোনের ব্যবস্থা রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ভিত্তি প্রস্তর করেন। এরপর ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পের এই ভবনের কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এর দেড় বছর পর ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুন ১৩ তলা ভিত্তিপ্রস্তরের ওপর ১০ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন