প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের মধ্যদিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর শুরু হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় প্রচারণা শেষ হয়। হিসাব অনুযায়ী প্রচার-প্রচারণার জন্য এবার ১৮ দিন সময় পেয়েছেন প্রার্থীরা। এখন অপেক্ষা ভোটগ্রহণের।
আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে এক হাজার ৯৭০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারাদেশে দলীয় প্রতীক ও স্বতন্ত্র থেকে নারী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সারাদেশে মোট ৯০ জন নারী প্রার্থী ভোটে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসন থেকে ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থী ভোটে লড়াই করছেন। নারী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মিলিয়ে মোট ১৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশন জানায়, এবার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৬ জন, এরপরই রয়েছে জাতীয় পার্টির ২৬৫ জন, তৃণমূল বিএনপির ১৩৫ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৩৯ জন, ইসলামী ঐক্যজোট ৪২ জন, কৃষক শ্রমিক জনতা-লীগের ৩০ জন, গণফোরাম নয়জন, গণ-ফ্রন্টের ২১ জন, জাকের পার্টির ২১ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৬৬ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের দশজন।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৫ জন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ১৬ জন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১১ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির পাঁচজন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ৩৮ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) পাঁচজন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের ৪৫ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চারজন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ৭৯ জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ৬৩ জন, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির ২৬ জন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) চারজন, গণতন্ত্রী পার্টির দশজন। ২৮টি রাজনৈতিক দলের মোট প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৫৩৪ জন। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ৪৩৬ জন। মোট প্রার্থীর মধ্যে ৭৫ জন হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
নির্বাচনে অংশ নিয়েছে যেসব দল
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী), গণতন্ত্রী পার্টি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১৪৯টি। এর মধ্যে ১০ হাজার ৩০০টি ঝুঁকিপূর্ণ (অতি গুরুত্বপূর্ণ) বলে ইসি থেকে জানা গেছে। ইসি জানায়, দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন, পুরুষ ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন।