আগের সরকারের সময়ে গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর আওতায় সুবিধার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভুয়া ছিল বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন মোরশেদ।
তিনি বলেছেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সহায়তার নামে লুটপাট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর কাছে সুবিধা পৌঁছাতে হলে কৌশলগত ও পৌঁছানোর ধরনটা বদলাতে হবে। এজন্য রিডিজাইন করতে হবে। সরকারের রিফর্ম ট্রাস্ট বলেছে, ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ সহায়তা জায়গা মতে পৌঁছেনি। উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান বলছে, এ অনিয়মের হার ৪৬ শতাংশ। এই কর্মসূচিতে যদি সত্যিকারের অর্থে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হয়, তাহলে লক্ষ্য নিখুঁত ও নির্ভুল করতে হবে। এটা বিস্ময়ের ব্যাপার যে এতদিন তা ঠিক করা হয়নি।
তিনি বলেন, যেকোনো কর্মসূচির একটি নির্দিষ্ট পরিমান ভুল হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে যে পরিমান ভুল হয়েছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্য এখন আমাদের কয়েকটি বিয়য় রিভিউ করতে হবে। প্রথমত, লক্ষ্য নিখুঁত পদ্ধতিতে আনতে হবে। দ্বিতীয়ত, এ কর্মসূচির অর্ধেক টাকা অপচয় হয়েছে। সেটা রোধ করে বিতরণের ধারণা ঠিক করতে হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর আওতায় নগদ টাকা সহায়তা একটি ভঙ্গুর ব্যবস্থা উল্লেখ করে সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, এটি কোনো কার্যকর পদ্ধতি নয়। এখানে অনেকগুলো অনিয়ম ঘটে। এজন্য ক্যাশ সহায়তার পাশাপাশি যাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত ও তথ্যভাণ্ডার করতে বিপুল অর্থ অপচয় হয়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর যারা এটা করেছেন, তারাও এর দায় এড়াতে পারেন না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিষয়ক মন্ত্রণায়ের সচিব কামরুল আহসান, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।