স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নকল পণ্য বিক্রয়ের প্রবণতা একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন জরুরি।
শনিবার (৩ মার্চ ) দৈনিক সমকালের উদ্যোগে ‘নকল পণ্য কিনবো না, নকল পণ্য বেচবো না’ শীর্ষক প্রচারাভিযানের দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, নকল পণ্য প্রতিরোধে সঠিক মানসম্পন্ন পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের সঠিক মূল্য পরিশোধের মানসিকতা ধারণ করতে হবে। স্বল্পমূল্যে ক্রয় করতে গিয়ে ক্রেতারা যেন ভ্রান্তি ও নকল পণ্যের শিকার না হন সেদিকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতা তৈরিতে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করা জরুরি। এক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সচেতনতা তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার, বিভিন্ন অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খাদ্যে ভেজালসহ বিভিন্ন ধরনের নকল পণ্য প্রতিরোধে অবিরাম কাজ করে চলেছে। এসব উদ্যোগকে সমন্বিত করে জনসাধারণের অধিকতর কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে। মনিটরিং প্রক্রিয়াটি অবিরামভাবে কার্যকর রাখতে হবে। এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
দৈনিক সমকালের সম্পাদক মুস্তাফিজ শফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার), নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরকার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান রিজওয়ান রহমান, বিএসটিআইয়ের পরিচালক তাহের জামিল, কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এস এম নাজির হোসেন, ইউনিলিভার বাংলাদেশের পরিচালক রাশেদুল কাইয়ুম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।