প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতীয়-আন্তর্জাতিক চক্রান্ত সব সময় থাকে, ওসবে ভয় করি না। উপরে আল্লাহ, নিচে জনগণ ও দলের লোক আছে। তারাই আমাকে রক্ষা করবে।’
আজ বুধবার টুঙ্গিপাড়ায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রেনেড-গুলি-বোমা সব পেরিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ একটা মানুষকে চান্স দেন। যতক্ষণ তার সেই কাজ শেষ না হয় ততোক্ষণ আল্লাহই রক্ষা করেন।’
তিনি বলেন, ‘গেল ১৪ বছরে গণতন্ত্রের মধ্যদিয়ে অর্থনৈতিক উন্নতি করেছি। মানুষের কল্যাণে যা যা করা দরকার করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেক এমপিকে নিজ এলাকার মানুষকে দেখতে হয়। আর আমাকে দেখতে হয় ৩০০ আসনের মানুষকে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়া কোটালীপাড়ার মানুষ আমাকে বারবার নির্বাচিত করেছে। তারা আমাকে দেখে। তাই নিবেদিতপ্রাণ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে পারি।’
এসময় তার সাফল্যের পেছনে টুঙ্গিপাড়াবাসীর অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমি যতটুকু সাফল্য অর্জন করেছি তাতে টুঙ্গিপাড়াবাসীর অনেক অবদান। এই মানুষগুলো আমাকে দেখে, আমাকে দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। এজন্য আমি সারা দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারি।’
এর আগে নিজ বাড়ি থেকে গাড়িতে নয় পায়ে হেঁটে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দুই দিনের গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী পায়ে হেঁটে সেখানে যান এবং যাবার সময় আশপাশের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধনের পর প্রথম যাত্রী হিসেবে বিশেষ ট্রেনে করে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ভাঙ্গায় যান। ট্রেন মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছার পর ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেন তিনি। এরপর বিকেলে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া যান শেখ হাসিনা। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের সন্তান লীলা, কাইয়ূস ও তাইকা সঙ্গে ছিলেন।
পরে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের নিহত সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পবিত্র ফাতেহা পাঠ, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন।