ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে দল-মত নির্বিশেষে গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
রোববার (৬ এপ্রিল) রাত ১১টার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক লাইভ ভিডিও বার্তায় এই আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগামীকাল বিশ্বব্যাপী হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়েছে আমাদের মজলুম গাজাবাসী ভাইবোনেরা। গণহত্যা বন্ধ করার দাবিতে বিশ্বের সব দেশে একযোগে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, অফিস,আদালত সব বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা। দল-মত নির্বিশেষে সারাদেশে একসঙ্গে রাজপথে নেমে ইসরায়েলি খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উচিত আমাদের। আমরা হয়ত এই মুহূর্তে আমাদের গাজার ভাইদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে পারবো না। কিন্তু তাদের লড়াইয়ের সঙ্গে একত্বতা ঘোষণা করতে নিজ ভূমির রাজপথে অন্তত নামতে পারবো। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমি কাল ১২টার পর থেকে রাজপথে থাকব। আপনারাও আসুন। আমার সাথে পাশে দাড়ান এবং অন্য স্থানে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলে রাস্তায় নামুন।
ভিডিওতে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আপনারা যারা মুসলমান এমনকি মুসলমান ছাড়াও অন্য ধর্মের যারা আছেন তারা জানেন যে কিভাবে গাজায় শিশু এবং নারীদেরকে ইসরায়েলিরা বোমা মেরে তাদেরকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এই পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজারের উপরে মানুষকে এই সরকার হত্যা করেছে। এমনকি জাতিসংঘের বহু স্বাস্থ্যকর্মীকে তারা হত্যা করেছে।
আমি বুঝতে পারি না জাতিসংঘের মতো একটা সংস্থা তাদের লোকদেরকে হত্যা করার পরেও জাতিসংঘ তাদের কোনো বিচার করছে না কেন?
জাতিসংঘ তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করতে পারছে না প্রশ্ন রাখেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি আরো বলেন, আমেরিকা কি এর সঙ্গে যুক্ত আছে? আমেরিকা কি সারা পৃথিবীর সমস্ত মানুষের বিপক্ষে দাঁড়াবে এবং বিপক্ষে দাঁড়ানোর পর তাদের বিরুদ্ধেও কি কিছু করা যাবে না?
ইলিয়াস কাঞ্চন দু:খ প্রকাশ করে বলেন আসুন আমরা অন্তত মুসলমান হিসাবে মৃত্যুর আগে অন্তত এদের পাশে দাড়াই। আমরা এদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের সংহতি প্রকাশ করি।
তিনি বলেন, আমরা যদি একতাবদ্ধ না হই তাহলে বিশ্ব মানবতা এভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে। আজ এ কিরকম জোর জুলুম চলছে? সারা পৃথিবী তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে অথচ কিছুই করতে পারছে না। আমরা আমাদের ঈমানের অংশ হিসাবে অন্তত এইটুকু অন্তত করি আসুন। আমরাও প্রতিবাদ করি, আমরা অন্তত তাদের বিরুদ্ধে নিন্দা জ্ঞাপন করি। যাতে আমাদের ইমান অন্তত থাকে। মৃত্যুর আগে যেন আমরা একটি ভালো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে মরতে পারি।