স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। আর বিদেশের চিকিৎসার বিষয়ে আদালতের অনুমতি ছাড়া সম্ভব নয়।’
আজ রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হচ্ছে।তবে বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন তার পরিবার করেনি। বিদেশের চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই, এ ক্ষেত্রে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।’
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন ভিসানীতির আওতায় থাকা কোনো তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসেনি। পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না সেটি তাদের এখতিয়ার বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।
উল্লেখ্য, বর্তমানে শারীরিক অবস্থার অবনতির হওয়ায় গত শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সাত ঘণ্টা পর তাকে আবার কেবিনে দেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তিনি এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে আছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় তার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে তিনি গুলশানের বাসাতেই ছিলেন। তবে বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছেন।