প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা সেটা যার যার দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। জনগণের ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতেই এই আইন করা হয়েছে। বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এ বিষয়ে সরকার প্রধানের প্রতিক্রিয়া জানতে চান একজন সাংবাদিক। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতেই এই আইন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়ে তুলেছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়াটাও আমাদের কাজ।
এই দায়িত্বটাও আমাদের পালন করতে হবে। তিনি বলেন, এ কারণেই এই দায়িত্ব পালন করতে হবে যেন ডিজিটাল বিশ্বে শিশু থেকে যুবক পর্যন্ত কাউকে বিব্রত না হতে হয়। কেউ যেন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত না হতে পারে। সেটা দেখতে হবে। আমাদের দেখতে হবে, কেউ যেন এমন কোনো কাজ করতে না পারে যা দেশের ক্ষতি করে, দেশের মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে কারণেই ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও প্রয়োজন।
কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কারাগারে বন্দি অবস্থায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তেমন কিছু তো ঘটেনি! কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে? তবে কারও মৃত্যুই কাম্য নয়। আবার কারও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ তৈরি করাও কাম্য নয়।
সমালোচকদের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সমালোচনা যারা করছেন, তারা করবেনই। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা কারা করছে? তারা কি বাস্তব কথা একবারও উপলব্ধি করতে পারে? আজ শুভ দিন। আজ অন্য কোনো কথা বলতে চাই না। আমার বয়স ৭৫ বছর। মানুষের অধিকার আদায় করতে স্কুলে থাকতেই রাস্তায় নামতে শুরু করেছি। সেই বাষট্টি সাল থেকে পথে পথে আছি মানুষের জন্য। কাজেই দেশের সবাইকে চেনা আছে। কে কোথায় কী করছে, সেটা আমাদের জানা আছে।