বায়ুমণ্ডলীয় ওজোন ক্ষয়কারী দ্রব্যগুলোর উৎপাদন ও ব্যবহার রোধ করলেই জীববৈচিত্র্যকে সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি ব্যাপক হারে জনসচেতনতা সৃষ্টি, বনায়ন, বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক পরিবেশবান্ধব বিকল্প প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত করলেও একটি দীর্ঘ সময় পুরো পৃথিবী একসঙ্গে লকডাউন হওয়ায় বায়ুদূষণ কমে প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হয়েছিল। যা নিশ্চিতভাবে ওজোন স্তর পুনর্গঠনে সহায়ক হয়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও বিশ্ব ওজোন দিবস-২০২০ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত এবং এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ওজোন স্তর সূর্য থেকে নিঃসরিত অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে মানবদেহে চর্ম-ক্যানসার, চোখের ছানিসহ অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদ, শস্যকে বিবিধ বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে সুরক্ষা দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওজোন স্তর রক্ষার জন্য ১৯৮৫ সালে ভিয়েনা কনভেনশন এবং এর আওতায় ১৯৮৭ সালে মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। ফলে গত ৩৫ বছরে সব রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষয়িষ্ণু ওজোন স্তর ধীরে ধীরে পুনর্গঠিত হতে শুরু করেছে এবং সূর্যালোক মানুষসহ পৃথিবীর সব জীবের জন্য নিরাপদ হচ্ছে।’
বিশ্ব ওজোন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রাণ বাঁচাতে ওজোন : ওজোন স্তর সুরক্ষার ৩৫ বছর’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী হয়েছে বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার গ্রিন-হাউস গ্যাস নির্গমন বন্ধ করার লক্ষ্যে প্যারিস চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পরিবেশ আদালত আইন-২০১০, বিপজ্জনক জাহাজ ভাঙার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০১১ এবং ২০১৪ সালে একটি সংশোধিত ও পরিমার্জিত ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করেছে।
জাতীয় পরিবেশ নীতি-২০১৮, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন-২০১৯ এবং বিশুদ্ধ বায়ু আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা দেশে ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। সম্প্রতি ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন জিসিএ’র দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অফিস চালু করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২০ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন