রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, উপযুক্ত সেবা, চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সহায়ক উপকরণ পেলে প্রতিবন্ধীরাও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম।
২৯তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২২তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর বিশেষ চাহিদা পূরণে এবং তাদের অধিকার রক্ষায় সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে আন্তরিক হতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী আমাদের সমাজেরই অংশ। উপযুক্ত সেবা, চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সহায়ক উপকরণ পেলে তারাও সামাজের বিভিন্নক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম। দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২৯তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২২তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০২০ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ২৯তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সম্পৃক্ত করি, নতুনভাবে টেকসই বিশ্ব গড়ি’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩; নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩; বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৮ এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯ প্রণয়ন করেছে।
এ সকল আইন ও বিধিবিধানের আলোকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মৌলিক চাহিদাপূরণ, ক্ষমতায়ন এবং দেশের অন্যান্য জনগণের ন্যায় সমঅধিকার নিশ্চিতকরণে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। ফলে এদেশের প্রতিবন্ধী জনগণ উপযুক্ত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান/স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
রাষ্ট্রপতি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে আমাদের দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্তের হার তুলনামূলকভাবে কম। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন