মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি (Mr ITO Naoki ) সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় বাংলাদেশের সাথে জাপানের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আজ রাজধানীতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম রোহেলসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাপানি দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো পুনর্গঠনে জাপানের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ১৯৭২ সালে জাপান স্বীকৃতি দেয় এবং বাংলাদেশে দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ বড় বড় প্রকল্পে জাপানের অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ – জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে।
২০২১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ণ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের অনেক আগেই উন্নত দেশ হবে।
২০২২ সালে বাংলাদেশ-জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বন্ধুপ্রতিম এ দুই দেশের সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পাবে বলে উভয়ই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।