আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৪ সালে আমাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা। ২১ আগস্ট হামলার সময় মেজর ডালিম ও রশিদ বাংলাদেশে ছিল। তারা যখন দেখল আমি মরিনি তারা দেশ ছেড়ে চলে গেল।
আজ রবিবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগস্ট নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা শেষে আলোচনা সভা এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট শুধু রাষ্ট্রপতিকেই হত্যা করা হয়নি, হত্যা করেছে পুরো পরিবারকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের জন্য তিনি কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়েছিল এবং হত্যা করেছে।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে সারাদেশে নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হলো। পাকিস্তানি সেনারা যেভাবে নির্যাতন করেছিল ঠিক সেভাবেই অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হয়েছিল আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর। একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ওপর ট্রেনে হামলা হলো। এটা কতটা ন্যক্করজনক একটি রাষ্ট্রের জন্য। আমরা এগুলো নিয়ে সমাবেশ করলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় সংসদে এগুলো নিয়ে কথা বললাম। আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হলো। ওখানে বললো যে আমি নিজেই নিয়ে গেলাম। সমাবেশে হামলা হলো। খুনিদের সেই রাতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। রাতারাতি সব আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করা হলো। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। আজ গুম-খুনের কথা বলেন জিয়াউর রহমান এই গুম-খুন শুরু করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির আমলে লাশ টানা, বোমাবাজিতে আহত হওয়া- এটা ছিল আমাদের প্রতিদিনের কাজ। আজ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কথা বলেন- ২০০১ সালের নির্বাচন আমরা দেখেছি। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিলাম যার কারণেই ২০০৪ সালে আমাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ২১ আগস্ট হামলার সময় মেজর ডালিম ও রশিদ বাংলাদেশে ছিল। তারা যখন দেখলো আমি মরিনি তারা দেশ ছেড়ে চলে গেলো। সে সময় বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যগুলো আপনারা খেয়াল করবেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম প্রমুখ। এছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।