স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
সবাইকে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, আসুন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখি, দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যাই, গড়ে তুলি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ – মহান বিজয় দিবসে এটিই আমার প্রত্যাশা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত বিজয়।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি।
সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, বিজয়ের আনন্দঘন এই দিনে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদ, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যসহ যারা দেশের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন, সবার অবদানের কথা শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এর মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র ও লাল-সবুজ পতাকা।