সরকার দেশের ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সোমবার দিনব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ, ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ। মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখছে। ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৪ শতাংশ প্রায় নাই বললেই চলে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি কর্পোরেশন ও মাঠপর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে মসজিদে এবং হিন্দু খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মাধ্যমে সব হিন্দু পুরোহিতদের মন্দিরে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর জন্য ঘোষণা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেবেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা হয়, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ কমায় ‘এ’ ক্যাপসুল। এছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারেও কমেছে।
উল্লেখ্য, বিটিআরসির সাহায্যে দেশব্যাপী সব মোবাইল অপারেটরের মধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্য সম্মলিত খুদে বার্তা দেওয়া হয়েছে। দেশের সব শিশু বিশেষজ্ঞদের (সরকারি-বেসরকারি) তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।