সারা দেশের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) মাদারীপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে মাদারীপুর সদরের সমাদ্দার ব্রিজ এলাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে নির্মিত সৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের প্রত্যেক ইউনিয়ন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধার নাম লেখা থাকবে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধার নাম লেখার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
আইসিটি মন্ত্রণালয়কে মুক্তিযুদ্ধ সম্বন্ধে বিভিন্ন এ্যাপস তৈরি করে মোবাইলের মধ্যে তা সংযোজন করা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেভাবেই কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
১৯৭১ সালের এই দিনে খলিল বাহিনীর ৩০০ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মধ্যে মাদারীপুরের সমাদ্দার ব্রিজে একটানা ৩৬ ঘণ্টা সম্মুখ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এক মেজর ও ক্যাপ্টেনসহ ৩৯ জন হানাদার সদস্য মাদারীপুরের খলিল বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করার মধ্য দিয়ে মাদারীপুর শত্রু মুক্ত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাদ্দারের সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ মাদারীপুরের সর্বকনিষ্ঠ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার হোসেন বাচ্চুর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, খলিল বাহিনীর প্রধান বীরমুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খানসহ অন্যরা। পরে দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে মাদারীপুর লেকের পাড়ে স্বাধীনতা মঞ্চে এক আলোচনা সভায় হয়।