রাজধানীর সায়েন্সল্যাবের ভবনটিতে চারটি কারণে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে মনে করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
মহিদ উদ্দিন বলেন, বিল্ডিংয়ের অবস্থা এখন পর্যন্ত খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, বিল্ডিংয়ের অবস্থা ভালো নয়। ভবনটির তিন তলায় ছোট ছোট অফিস ছিল এবং একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানির অফিস ছিল। যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমি মনে করি এই মুহূর্তে ভবনটিতে কারও প্রবেশ করা উচিত হবে না। আমরা ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছি ও পরিদর্শন করেছি।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চারটি কারণে এখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। একটি হলো শর্ট সার্কিট, জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও এসি বিস্ফোরণও হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষ হলে সঠিক কারণ জানা যাবে।
হতাহতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পপুলার হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে মিলে ১২ থেকে ১৩ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চার-পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। আর শুনেছি তিনজন মারা গেছে।
রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে নিউমার্কেটের দিকে যাওয়ার পথে প্রিয়াঙ্গণ শপিং মলের পাশের ভবনে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের পর তাদের পপুলার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন শফিকুজ্জামান, আবদুল মান্নান ও তুষার।