মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইনমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার।
এক সম্পূরক প্রশ্নে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে অনেকটা যুদ্ধের মতো চলছে। যে কারণে সেখান থেকে সাধারণ মানুষ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। গোলাগুলি হচ্ছে। সেই গোলা এসে বাংলাদেশে পড়ছে। মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই অবস্থায় দেশের সীমান্ত ও স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তায় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চান তিনি।
জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এ বিষয়ে সরকার ওয়াকিবহাল। মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৭৮ জন বাংলাদেশে চলে এসেছেন। তাদের মধ্যে কিছু আহতও আছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে আপাতত একটা স্কুলে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠানো বা ফেরত পাঠানো না গেলে অন্য কী ব্যবস্থা করা যায়, সেটাও করা হবে। দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধৈর্য ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, মর্টার শেলে (মিয়ানমারের দিক থেকে আসা) বাংলাদেশের একজন এবং ওদেরও (রোহিঙ্গা) একজন মারা গেছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।