রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সরকার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মতো টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। আগামীকাল (৯ জুন) ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ ২০২১। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক’ অত্যন্ত সময়োপযোগী। এতে কৌশলগত উন্নয়ন অভিলক্ষ্যের উদ্দেশে এবং লক্ষ্যসমূহ কারিগরি জ্ঞান ও সক্ষমতার সমন্বয়ে বাস্তবায়ন, পরিমাপ ও তদারকির বিষয়টিতে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, যা নীতি নির্ধারক, ব্যবসা ও অন্যান্য অংশীজনদের সহায়তা প্রদান করবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড মহামারির মধ্যেও জীবিকা ও বাণিজ্যের গুণাগুণ মান ও প্রমিত মানের ভূমিকা এবং বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের ওপর এর প্রভাব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন মেট্রোলজি, মান নির্ধারণ, সাজুয্য নিরুপণ ও বাজার তদারকির মাধ্যমে দেশে গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়ন উপযোগী জাতীয় মান অবকাঠামো দেশে বিদ্যমান। বাংলাদেশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট–এর ১৭টি লক্ষ্য ও ১৬৯টি অভিলক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রতা নিরসনের জন্য কাজ করছে। সরকার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মতো টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সর্বদা সচেষ্ট।
আবদুল হামিদ বলেন, যে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে কারিগরি সমস্যা সমাধানের একটি স্বীকৃত সহজ উপায় হলো অ্যাক্রেডিটেশন, যা বৈদেশিক বাণিজ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য পরিবেশ সুরক্ষা, শিল্প ও অবকাঠামো উন্নয়নে নীতি নির্ধারকদের জন্য সহায়তা ও সমর্থন করে থাকে। তিনি এই দিবসের সকল কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন।