প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সব শ্রমিকদের ডিজিটাল ডাটাবেজ করবে সরকার। ডিজিটাল ডাটাবেজ সম্পন্ন হলে কোন খাতে কত শ্রমিক নিয়োজিত তার প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে। শ্রমিকদের সব প্রকার সুবিধা দেওয়া সহজ হবে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সৌজন্য সাক্ষাতকালে তাকে এ তথ্য জানানো হয়।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরামর্শ অনুযায়ী শ্রম মন্ত্রণালয় ৫ বছর মেয়াদী (২০২১-২০২৬) কর্ম-পরিকল্পনার উন্নয়ন করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসন ও ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ৫০ বছরে পৌঁছাবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কর্মক্ষেত্রে কর্ম-পরিবেশের উন্নয়নের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্ত হয়েছে। এ সময়ে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
সাক্ষাতকালে জানানো হয়, ডিজিটাল ডাটাবেজ সম্পন্ন হলে জাতীয় শ্রমিকদের সব প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া বিশেষ করে তাদের সহায়তা ও পাওনাদি পরিশোধ সহজ হবে। এক কথায় খুব সহজে শ্রমিকদের সব তথ্যাদি পাওয়া যাবে। কর্মপরিবেশের উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতকালে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, যুগ্মসচিব (আন্তর্জাতিক সংস্থা) মো. হুমায়ুন কবীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।