হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি অত মাথা ঘামাই নাই। এটা স্বাধীন-সার্বভৌম একটা রাষ্ট্র।
২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে শপথ পড়ান। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচারকদের বয়স ৬৭ বছরের বেশি এ পদে থাকার সুযোগ নেই। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হয়।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘অথরিটি পাওয়ার (কর্তৃত্ব ক্ষমতা) দুইভাবে ব্যবহার করা যায়। একটা হচ্ছে ভোগ করে, আরেকটা হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য, বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা।
আমি দ্বিতীয়টা বেছে নিয়েছি। নিজের সুখ-শান্তি, পরিবারের সুখ-শান্তির দিকে একবারও তাকাইনি। প্রতিটা মুহূর্ত দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই দেশের বিচার বিভাগের উন্নতির জন্য।’
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এক মাসেরও বেশি সময়ের অবকাশ ছুটির কারণে ৩১ আগস্ট প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বিদায় সংবর্ধনা দেয় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। এর মধ্যে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বভার দিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর ওমরাহ পালন করতে যান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
১৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে শেষ কর্মদিবস পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে নিয়োগ দেন। এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শপথের তারিখ হতে এ নিয়োগ কার্যকর হবে। আগামীকাল ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।