স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে সব ধরনের গুজব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে করোনার ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রতিটি ভ্যাকসিন কেন্দ্রে অন্যরকম আমেজ চলে এসেছে। ভ্যাকসিন গ্রহীতা কোনো একজনেরও কোনো রকম অসুবিধা হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্রগুলির মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সকাল ১১টায় প্রথমে বিএসএমইউ-তে যান এবং সেখানে টিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শন করেন। সেখানে সকালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াসহ অনেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
পরে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবিএম জামালসহ বিভিন্ন ফ্রন্টলাইনরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বিকেলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ভ্যাকসিন গ্রহণ শেষে এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণের ২০ মিনিটের মধ্যেই আমি আমার স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করেছি। কোন রকম অসুবিধাই হয়নি।” কোন ধরনের মিথ্যা গুজবে কান না দিতে তিনি এসময় সকলকে অনুরোধ করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, রাজধানীর ৫টি হাসপাতালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০০ জনকে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ২০০ জনকে, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রায় ১০০ জনকে, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাপপাতালে প্রায় ১৫০ জনকে এবং কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে প্রায় ৫০ জনসহ মোট প্রায় ৭০০ জনকে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।