‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পুলিশ আছে জনতার পাশে’ প্রতিপাদ্যে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ছয় দিনব্যাপী (৩-৮ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩। ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এবারই প্রথম একসঙ্গে পদক পেলেন পুলিশ দম্পতি। তারা হলেন- বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ও পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি সুনন্দা রায়। পুলিশ সুপার দম্পতি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ও সুনন্দা রায় দুজনই বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে এ পদক পরিয়ে দিয়েছেন। এবছর বাহিনীতে ভালো কাজের জন্য ১১৭ জনকে বিপিএম ও পিপিএম পদক দেওয়া হচ্ছে।
২০২২ সালে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)। ২৫ জনকে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)’ প্রদান করা হয়েছে। ২ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রজ্ঞাপনে র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে বিপিএম পদকে ভূষিত করার বিষয়টি জানানো হয়। এর ফলে এবার বিপিএম-পিপিএম পদকপ্রাপ্ত মোট কর্মকর্তার সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৭ জনে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ৫০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আইজিপি’স এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ পাচ্ছেন পুলিশের ৪৫৮ জন কর্মকর্তা ও সদস্য।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে তাদের এই ব্যাজ পরিয়ে দেবেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুলাহ আল-মামুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। তিনি পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। এবারের বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন খুলনা রেঞ্জের পুলিশ সুপার কাজী মইন উদ্দিন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নেন।
পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্ম অধিবেশনে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।