স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশকে আরেকটি পাকিস্তানে পরিণত করার পাঁয়তারা দেখেছি। যুদ্ধাপরাধী যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের গাড়িতেও বাংলাদেশের পতাকা উড়েছিল। ইতিহাসটাকে বিকৃত করা হচ্ছিল। আমরা এটি সহ্য করতে পারছিলাম না।
রবিবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের অংশগ্রহণে মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান।
এসময় তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিনি ওয়াদা করেছিলেন, তাকে ভোট দিলে তিনি বাংলাদেশকে বদলে দেবেন। তিনি তার কথা রেখেছেন। বদলে দিয়েছেনও এ দেশকে। এ কারণে আমরা সম্ভাবনাময় বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যতদিন এ দেশে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা বেঁচে থাকবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন। ষড়যন্ত্র করে কোনও লাভ হবে না। যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বাংলাদেশকে কেউ আর রুখতে পারবে না।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আমাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর আমরা দেখলাম দেশকে আরেকটি দেশে রূপান্তরিত করার পাঁয়তারা চলছে। আমরা তখন সহ্য করতে পারছিলাম না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা যেদিন দেশে এলেন, সেদিন থেকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াল। আজ আমরা সম্ভবনাময় দেশে পরিণত হয়েছি। আজকে আমরা পদ্মা সেতু দেখছি, মেট্রো রেল দেখছি। এখনো দেখছি ষড়যন্ত্র চলছে, পাঁয়তারা চলছে। এখনো সেই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের পাঁয়তারা চলছে।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাস, সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসপি মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জিহাদুল কবির, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান, টংগিবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ আল আসাদ বারেক, সাধারণ সম্পাদক আহসান কবির হাওলাদার প্রমুখ।
Absolutely right.