বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল খোলার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল আগামী এক বছরের মধ্যে চালু হবে। নতুন সিনেমা হল তৈরি হবে।’
আজ সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সিনেমা হল নির্মাণ-সংস্কারে ব্যাংক ঋণ চালুর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রীকে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র প্রদর্শন শিল্পের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এ তহবিল হলো একটি প্রণোদনা প্যাকেজ বা লোন। তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে এ লোন বিতরণ করা হবে। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বল্পসুদে ও সার্ভিসচার্জে অর্থ সিডিউল ব্যাংকে দেবে। তখন সিডিউল ব্যাংকের সঙ্গে তাদের পরিচালনা ব্যয় যুক্ত করে জেলা শহরে ও উপজেলায় সাড়ে চার শতাংশ সুদে ভোক্তাদের কাছে এ ঋণ বিতরণ করবে। আর ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরে ৫ শতাংশ সুদে এই ঋণ বিতরণ করা হবে। আট বছরের মেয়াদে এক বছরের গ্রেজ প্রিয়ডে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চাহিদার ভিত্তিতে প্রয়োজনে দেড় হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়াতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’
তিনি বলেন, ‘এখান থেকে ঋণ শুধু তারাই পাবে, যারা সিনেমা হল সংস্কার করতে চায়, বন্ধ সিনেমা হল পুনরায় চালু করতে চায়। অথবা নতুন সিনেমা হল বানাতে চায়। একই সঙ্গে কোনো মার্কেটের ভেতরে যদি কোনো সিনেপ্লেক্স করতে চায়, সেক্ষেত্রেও এ ঋণ দেওয়া হবে।’
‘আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম একজন ভোক্তাকে একটি হলের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বেশি না দেওয়ার জন্য। এ ধরনের প্যাকেজ যখন ঘোষণা করে তখন বড় বড় ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী অনেকেই বেশি ঋণ নিয়ে নেয়। তখন অনেকেই ঋণ পায় না। সেজন্য একটি হলের জন্য পাঁচ কোটি আর কেউ যদি দুইটি হল করে সেখানে তিনি দুইটি হলের জন্য ঋণ পাবে। কিন্তু ব্যাংক লোন তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমেই দেওয়া হবে। সব নিয়ম-কানুন ও শর্ত পূরণ করেই নিতে হবে ঋণ। আর ব্যাংকও এগুলো যাচাই-বাছাই না করে ঋণ দেবে না। এখানে পার্থক্য শুধু সুদের হার কম। প্রচলিত নয় শতাংশের স্থানে সাড়ে চার শতাংশ। এ ঋণের সুবিধা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি। সুতরাং একারণে খুব বেশি নয় ছয় করার সুযোগ নেই’,- বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ টিনের ঘর তুলে ঋণ নেবে, সেটা হবে না। আমরা সে বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখব। এ ঋণ খুব শিগগিরিই কার্যকর হবে। ইতোমধ্যে সমস্ত তফসিলি ব্যাংকে চিঠি চলে গেছে। যেসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুবিধা নিয়ে ভোক্তাদের কাছে এ ঋণ দিতে পারবে। তারা জানানোর পরপরই সেসমস্ত ব্যাংকে আবেদন করে এ ঋণ নেওয়া যাবে। পরবর্তীতে আপনাদের জানানো হবে কোন কোন ব্যাংক থেকে এ ঋণ দেওয়া হবে।’