ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর জেরে ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত। সোমবার (২৬ আগস্ট) ব্যারেজের ১০৯টি গেটের সবগুলো খুলে দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ফারাক্কা ব্যারেজ প্রকল্প সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ বলছে, ফারাক্কা বাঁধের এসব গেট খুলে দেওয়ায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায়। বাংলাদেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নদ-নদী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপলের পরিচালক এম আনোয়ার হোসেন। সোমবার (২৬ আগস্ট) ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবেশী দুই রাজ্যে বন্যার জেরে পানির চাপ পড়েছে। তবে স্বস্তির বিষয়, এখনও নেপাল থেকে পাহাড়ি ঢল নামেনি। ফারাক্কা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকায় বাধ্য হয়ে গেট খুলতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফিডার ক্যানেলেও পানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এতে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি।
ফারাক্কা ব্যারেজের আপ স্ট্রিমে পানি ধারণক্ষমতা ২৬.২৪ মিটার। বিপৎসীমা ২২.২৫ মিটার এবং সর্তকতাসীমা ২১.২৫ মিটার। ইতিমধ্যে আপ স্ট্রিমের ধারণক্ষমতা অতিক্রম করায় শনিবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ গেট। ইতিমধ্যেই ১১ লাখ কিউসেকের বেশি পানি ছাড়া হচ্ছে ব্যারেজ থেকে।