English

27 C
Dhaka
সোমবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

প্রধানমন্ত্রী ৬ মে ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ উদ্বোধন করবেন

- Advertisements -

আগামী বৃহস্পতিবার (৬ মে) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার নবসৃষ্ট ‘চারটি মেরিন একাডেমী; পায়রা বন্দর পুনর্বাসন প্রকল্পের ৫০০টি বাড়ি, বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি ড্রেজার ও ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, একটি প্রশিক্ষণ ও একটি বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ এবং একটি ড্রেজার বেইজ, বিআইডব্লিউটিসি’র দু’টি যাত্রিবাহী জাহাজ’ উদ্বোধন করা হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করবেন। অবকাঠামো ও জলযানগুলোর মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)’, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজ; বিআইডব্লিউটিসি’র দু’টি উপকূলীয় যাত্রিবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’; পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট মেরিন একাডেমি।

এসব অবকাঠামো এবং জলযান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌসেক্টরের উন্নয়নে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে তৈরি ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজারসহ শতাধিক নৌযান একসাথে উদ্বোধন বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ নদীর নাব্যতা রক্ষা, নৌপথ উন্নয়ন, উপকূলীয় এলাকার যাত্রি পরিবহন ও দক্ষ নৌকর্মী গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননে সরকার বদ্ধপরিকর। এলক্ষ্যে ২০টি ড্রেজার এবং ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান প্রস্তুত করা হয়েছে। নৌপথ খনন ও নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে ২০টি ড্রেজার বিআইডব্লিউটিএ’র বহরে যুক্ত হয়ে মোট ৪৫টি ড্রেজারের শক্তিশালী ইউনিট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বর্তমান মেয়াদে ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির উপকূলীয় যাত্রিবাহী জাহাজ ও সি-ট্রাক বহরকে দক্ষ ও যুগোপযোগি করতে নবনির্মিত অত্যাধুনিক যাত্রিবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নির্মাণ করা হয়েছে। জাহাজ দু’টি কুমিরা-গুপ্তছড়া এবং চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-বরিশাল রুটে চলাচল করবে। এ জাহাজ দুু’টির মাধ্যমে বছরে ৬.৩০ লাখ যাত্রি পরিবহন সম্ভব হবে। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাত্রিবাহী জাহাজ ‘এমভি বাঙালি’ ও ‘এমভি মধুমতি’ উদ্বোধন করেছিলেন। বিআইডব্লিউটিসি’র আরও ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের পুনর্বাসনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ৫০০টি বাড়ি হস্তান্তর করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ৩ হাজার ৪২৩টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। তাদের জন্য জীবন ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিশ্ব নৌবাণিজ্য অর্থনীতিতে অবদান রাখা ও সমুদ্রগামী জাহাজে দেশের নাবিকদের চাকরির বিশাল সুযোগকে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেটে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন চারটি মেরিন একাডেমি। যেখানে ক্রমান্বয়ে বছরে ৪০০ ক্যাডেটের পাশাপাশি সমুদ্রগামী মেরিনাররা বিভিন্ন ধাপে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন