ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অত্যন্ত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে মেধাবী ও শারীরিক দিক থেকে অধিকতর যোগ্য তিন হাজার প্রার্থীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হয়েছে। পরিবর্তিত পদ্ধতিতে কনস্টেবল নিয়োগ এক মাইলফলক হয়ে থাকবে। সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট পদেরও নিয়োগবিধি সংশোধন করা হয়েছে। বিসিএস এর মাধ্যমে এএসপি নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ও আমরা পরিবর্তন আনছি।
তিনি আজ বিকালে রাজশাহী জেলা পুলিশের ড্রিল শেডে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি), রাজশাহী রেঞ্জ ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সভায় আরএমপি কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা উদ্বোধন এবং পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর, রাজশাহীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক সময় ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অসুখ-বিসুখ ও বঞ্চনার দেশ। দারিদ্র ছিল মানুষের নিত্যসঙ্গী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুঃসাহসিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। এক সময় বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে ঋণ নিতে প্যারিস কনসোর্টিয়ামে দেনদরবার করতে হতো। এখন আমরা অনেক দেশকে ঋণ দিতে সক্ষম। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
দুর্নীতিকে এক দুষ্ট ক্ষত আখ্যায়িত করে আইজিপি আবারও দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে কোন ধরনের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’।
পুলিশ সদস্যরা আইজিপির কাছে তাদের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তিনি এসব বিষয় সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
পরে তিনি ফোর্সের সাথে প্রীতিভোজে অংশ নেন। এসময় তিনি অধঃস্তন পুলিশ সদস্যদের প্লেটে খাবার তুলে দেন। পুলিশ প্রধানের এ ধরনের মানবিকতায় পুলিশ সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পরে তিনি বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২২ উদ্বোধন করেন।